আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য আজও সমাধান হয়নি। তবে শুধু আটলান্টিক নয়, পশ্চিমবঙ্গের পাশেই রয়েছে এমনই আরেক রহস্যজনক ত্রিভূজ যাকে বলে ‘ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’।
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায় রয়েছে আরেকটি 'বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’। এই ত্রিভূজ যে তিন কাল্পনিক বিন্দু নিয়ে গঠিত হয়েছে তার একটি বিন্দু রয়েছে ওড়িশার আমারদা রোড এয়ারফিল্ডে, দ্বিতীয় বিন্দু রয়েছে ঝাড়খন্ডের চাকুলিয়ায় এবং তৃতীয় বিন্দুটি রয়েছে বাঁকুড়ার কাছে পিয়ারডোবায়। এই তিনটি কাল্পনিক বিন্দু যোগ করলে একটি ত্রিভূজ তৈরি হয়।
advertisement
গত ৭৪ বছর ধরে এই ত্রিভূজের রহস্যের কোনও কিনারা হয়নি। এই অঞ্চলে অন্তত ১৬টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগই যুদ্ধবিমান। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের।
advertisement
advertisement
১৯৪৪ সালের ৪ মে ‘ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’-এ প্রথম দুর্ঘটনা ঘট। আমেরিকার লিবারেটর যুদ্ধবিমান এবং হার্ভার্ড দি হাভিল্যান্ড বিমানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই বিমানের ৪ জন সদস্যের প্রাণ যায়। এই ঘটনার ৩ দিন পর ১০ জনকে নিয়ে উড়ান নেওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যায় একটি বিমান। এর এক সপ্তাহের মধ্যে ফের আরও একটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর আরও একটি যুদ্ধবিমান রহস্যজনক ভাবে ধ্বংস হয়ে যায়।
advertisement
সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি ঘটে ১৯৪৫ সালে। ব্রিটিশ রয়্যাল যুদ্ধবিমান বি-২৪ লিবারেটর এবং অন্য আরও দুই যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষ হয়। এখনও পর্যন্ত শেষ দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। প্রতিটা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে বিমানগুলির মধ্যে কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল না এবং আবহাওয়াও পরিষ্কার ছিল। কাজেই দুর্ঘটনার আসল কারণ আজও জানা যায়নি।
advertisement
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার রাসগোবিন্দপুর গ্রামের কাছে ৬০০ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এই ঘাঁটি আপাতত পরিত্যক্ত। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অন্যতম ব্যস্ত বিমানঘাঁটি ছিল এটি। ওড়িশার আমারদা রেল স্টেশনের খুব কাছে অবস্থিত এই বিমান ঘাঁটি, তাই নাম রাখা হয় আমারদা রোড এয়ারফিল্ড।