আর মাত্র ৩০ দিন...তারপরেই মহালয়া

Last Updated:

আর ঠিক ৩০ দিন পরেই মহালয়া ৷ পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা ৷ কৈলাস থেকে চার ছেলে মেয়ে নিয়ে মা আসবেন বাপের বাড়ি ৷ আমাদের সঙ্গে থাকবেন ৷ বছরে মাত্র চারটে দিন মা’কে কাছে পাওয়া ৷

#কলকাতা: দেখতে দেখতে এসে গেল আরও একটা পুজো ৷ মেঘের আস্তরণ আর বৃষ্টির একঘেয়েমিটা কেটে গেলেই মাঝেমধ্যে উঁকি দিচ্ছে সে ৷ সেই বহু চেনা গন্ধটা, সেই পাগল পাগল হাওয়া আর দূরে কাশের গুচ্ছ ৷ মেট্রোতে প্রচুর ভিড় দেখলেও রাগ আসে না এখন, বেশি টাকা খরচ হলেও দুঃখ হয় না, বসের বকা খেলেও মনে হয় ক্ষমা করে দেওয়া যায়...৷ সবটাই বড্ড ভাল ভাল ৷ বাঙালির অতি পরিচিত, অতি বস্তাপচা. আর অতি আপন সেই পুজোটা দরজায় কড়া নাড়ছে যে ৷
আর ঠিক ৩০ দিন পরেই মহালয়া ৷ পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা ৷ কৈলাস থেকে চার ছেলে মেয়ে নিয়ে মা আসবেন বাপের বাড়ি ৷ আমাদের সঙ্গে থাকবেন ৷ বছরে মাত্র চারটে দিন মা’কে কাছে পাওয়া ৷ তাই বছরের অন্যদিনের তুলনায় আনন্দ, খুশি, মজাটা বেড়ে চতুর্গুণ হয়ে যায় বৈকি ৷ আর এই সমস্ত দিনের সূচনা টো হয় মহালয়ার হাত ধরেই ৷
advertisement
advertisement
ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জলদান করেন ৷ মহাভারতের কাহিনী অনুসারে জানা যায়, কর্ণ যখন স্বর্গে গেলেন তখন তাঁকে স্বর্ণ বা সোনা খেতে দেওয়া হয়েছিল ৷ কর্ণ তখন ইন্দ্রকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন ৷ দেবরাজ বলেন, দাতা কর্ণ সারা জীবন সকলকে শুধু স্বর্ণই দান করে গিয়েছেন ৷ পিতৃকূলের উদ্দেশ্যে কোনও খাদ্যই দান করেননি ৷ তখন কর্ণ বলেন, পিতৃকূল সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত না থাকার কারণেই এমনটা ঘটেছে ৷ তখন আবার কর্ণকে ১৬ দিনের জন্য মর্ত্যে পাঠানো হয় ৷ ওই ১৬ দিন কর্ণ পিতৃকূলকে অন্ন ও জলদান করেন ৷ শেষপর্যন্ত কর্ণের পাপস্খলন হয় ৷
advertisement
আবার রামায়ণ বলছে, সীতাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার আগে শরতকালে রামচন্দ্র অকালে দেবী দুর্গার বোধন করেছিলেন ৷ তাই দেবীর এই বোধনকে বলা হয় অকাল বোধন ৷ আসল দুর্গাপুজো কিন্তু বসন্ত কালে ৷ তাকে বাসন্তী পুজা বলা হয় ৷ হিন্দুদের সমস্ত শুভকাজের আগেই পিতৃপুরুষকে অন্ন-জলদান করে খুশি করতে হয় ৷ রামচন্দ্র লঙ্কা বিজয়ের আগে মহালয়ার দিন এমনটাই করেছিলেন ৷ সেই থেকে মহালয়ায় পিতৃপুরুষকে জল দেওয়ার রীতি চলে আসছে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
আর মাত্র ৩০ দিন...তারপরেই মহালয়া
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement