কুমারী পুজোর মাহাত্ম্য অভিনব! কী ভাবে পুজোর জন্য বাছা হয় কুমারী
- Published by:Arka Deb
- news18 bangla
Last Updated:
ঘরের মেয়ে উমা, তাই ঘরের মেয়েকেই লাল বেনারসি, বাহারি ফুল আর পদ্ম দিয়ে সাক্ষাৎ দুর্গার সাজে সাজানো হয়।
যোগিনীতন্ত্রে বলা রয়েছে কুমারী পুজোয় ত্রিলোক জয়ের শক্তি মেলে। অষ্টমীর সকালে কুমারীর মধ্যে মাতৃরূপ দর্শন তাই এক প্রাচীন আচার। বেলু়ড় মঠ তো বটেই বহু বনেদি বাড়িতেও কুমারীর মধ্যেই মাতৃশক্তির আরাধনার চল রয়েছে। ঘরের মেয়ে উমা, তাই ঘরের মেয়েকেই লাল বেনারসি, বাহারি ফুল আর পদ্ম দিয়ে সাক্ষাৎ দুর্গার সাজে সাজানো হয়। কিন্তু কারা সেই কুমারী, কী ভাবে বাছাই করা হয় তাদের?
এই বিষয়ে আলোচনা করার মতো শাস্ত্রজ্ঞ আজ প্রায় দুর্লভ। আমরা সূত্র পেতে পারি দুর্গাপুজার জোগাড় নামক গ্রন্থে। সেখানে বলা হচ্ছে, তন্ত্রশাস্ত্র মতে পুজার যোগ্য কন্যার বয়স এক থেকে ষোল বছরের মধ্যে হওয়া উচিত। তবে সনাতন শাস্ত্র বলছে দশম বর্ষীয়া কন্যাই কুমারী রূপে পুজো পেতে পারে।
কুমারীর মধ্যে সুন্দর, সুলক্ষণ, শোভন প্রকৃতি এই তিন গুণ খুঁজতে বলে শাস্ত্র। তাকে পুজো করে শত্রুনাশ, ধনাগম ও আয়ুবৃদ্ধি কামনা করেন ভক্তরা।
advertisement
advertisement
বিভিন্ন বয়সের কুমারীকে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয় শাস্ত্রে। যেমন দু'বছরের কন্যা সরস্বতী, তিন বছরের কন্যার নাম ত্রিধামূর্তি, চার বছরের কন্যা কালিকা। পাঁচ বছরের কন্যা সুভগা, ষষ্ঠবর্ষীয়া উমা, সাত বছরের কন্যা মালিনী, আট বছরের কন্যা কুব্জিকা। নয় বছরের মেয়ে কালসন্দর্ভা, দশ বছরের কন্যা অপরাজিতা নামে পরিচিত ও পূজিত হয়।
view commentsLocation :
First Published :
October 23, 2020 5:53 PM IST