মরেই গিয়েছিলেন ! ৩ মিনিট পরে চোখ খুলে এমন সত্য প্রকাশ মেয়ের যে সবাই হতবাক, জানলে আপনারও বুক কেঁপে উঠবে

Last Updated:

এই গল্পটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী ট্রিসিয়া বার্কার নামের এক মহিলার। তিনি ২১ বছর বয়স পর্যন্ত সম্পূর্ণ নাস্তিক ছিলেন।

মরেই গিয়েছিলেন ! ৩ মিনিট পরে চোখ খুলে এমন সত্য প্রকাশ মেয়ের যে সবাই হতবাক (Photo: AI)
মরেই গিয়েছিলেন ! ৩ মিনিট পরে চোখ খুলে এমন সত্য প্রকাশ মেয়ের যে সবাই হতবাক (Photo: AI)
স্বামী অভেদানন্দর মরণের পারে পড়ে বিচলিত হননি, এমন বাঙালি বড় কম! আসলে, মৃত্যুর পর কী হয় এই প্রশ্নটি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানব সভ্যতাকে বিচলিত করে চলেছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে মৃত্যুর পরে সব কিছু শেষ হয়ে যায়, আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে আত্মা অন্য জগতে চলে যায়। এই প্রসঙ্গে, মৃত্যুর কাছাকাছির অভিজ্ঞতা (NDEs) বা মৃত্যুর অভিজ্ঞতা অর্জনকারী মানুষের গল্পগুলো গভীরভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। এঁরা হলেন সেই সব মানুষ যাঁরা মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তার পর আবার তাঁরা জীবন ফিরে পেয়েছিলেন। এই সূত্রেই উঠে আসবে এমন একজন মহিলার কথা, যিনি তাঁর যৌবনে তিন মিনিটের জন্য মৃতদশায় ছিলেন। ওই সময়কালে তিনি এমন এক পরকাল দেখেছিলেন যা তাঁকে হতবাক করে দিয়েছিল। ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হলেও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গিয়েছিল। এই গল্পটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বসবাসকারী ট্রিসিয়া বার্কার নামের এক মহিলার। তিনি ২১ বছর বয়স পর্যন্ত সম্পূর্ণ নাস্তিক ছিলেন। কিন্তু তার পর একটি দুর্ঘটনায় তাঁকে তিন মিনিটের জন্য মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পর যা ঘটেছিল তা যে কাউকে হতবাক করে দেবে।
ডেইলি মেইলের খবর বলছে, টেক্সাসের অস্টিনের বাসিন্দা ট্রিসিয়া (৫৩) একটি খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু তিনি ঈশ্বর বা আত্মায় বিশ্বাস করতেন না। একদিন একটি রেসে গাড়ি চালানোর সময়ে তিনি একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন। তাঁর গাড়িটি প্রচণ্ড জোরে অন্য একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খায়, যার ফলে গুরুতর আহত হন তিনি। তিনি আর নড়াচড়া করার মতো অবস্থায় ছিলেন না। জীবনের সেই কঠিনতম মুহূর্তে নাস্তিকতা ভুলে গিয়ে প্রথমবারের মতো ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন মহিলা, ‘‘হে ঈশ্বর! যদি আপনি সত্যিই থাকেন, তাহলে দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন, আমাকে বাঁচান এবং আমাকে আবার হাঁটতে সাহায্য করুন।’’ দুর্ঘটনার পর ট্রিসিয়াকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে জানা যায় যে তার মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে এবং একাধিক অভ্যন্তরীণ আঘাতও রয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্য বিমা ছিল না, তাই অস্ত্রোপচারের জন্য ১৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের আগে ট্রিসিয়াকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পর যা ঘটেছিল তা তাঁর জীবন সম্পর্কে সম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়।
advertisement
advertisement
ট্রিসিয়া বলেন যে তিনি নিজের শরীর থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে উপর থেকে অপারেটিং টেবিলে শুয়ে থাকতে দেখেছেন। শরীর ছেড়ে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পান এবং কোনও ব্যথাও অনুভব করেননি; চারপাশে কেবল শান্তি এবং নীরবতা ছিল। সার্জনদের পিছনে ট্রিসিয়া রুপোলি, সাদা, সোনালি, হলুদ এবং নীল রঙ দিয়ে তৈরি এক আলোর মানুষ দেখতে পান। ট্রিসিয়া বলেন যে ওই ব্যক্তি বুদ্ধিমান ছিলেন, তিনি ট্রিসিয়ার সঙ্গে টেলিপ্যাথিকভাবে কথা বলেন। তিনি ট্রিসিয়াকে দৌড়াতেও সাহায্য করেন এবং তাঁকে বলেন যে তিনি ঠিক হয়ে যাবেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ট্রিসিয়ার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় এবং তিনি সম্পূর্ণতই প্রাণহীন হয়ে যান। কিন্তু এই অবস্থায়ও ট্রিসিয়া সব কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন। ট্রিসিয়া বলেছেন যে তিনি তাঁর সৎ-বাবাকে তাঁর মায়ের সঙ্গে হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে দেখতে পান। তিনি তাঁর সৎ-বাবাকে একটি ভেন্ডিং মেশিন থেকে চকলেট কিনতে দেখেছিলেন, যা ট্রিসিয়াকে অবাক করেছিল, কারণ ওই ভদ্রলোক মিষ্টি জিনিস পছন্দ করতেন না। মৃত্যুর পর ট্রিসিয়া যখন তাঁর মাকে এই কথা বলেছিলেন, মা জানিয়েছিলেন যে চকোলেট কেনার ঘটনা সত্যি সত্যিই ঘটেছিল!
advertisement
ট্রিসিয়া আরও বলেন যে ওই মৃত্যুকালীন পর্যায়ে তিনি তাঁর ঠাকুর্দার সঙ্গেও দেখা করেছিলেন, তাঁকে দেখতে বেশ তরুণ লাগছিল। প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার পর যখন তিনি চলে  যাচ্ছিলেন, এমন সময় একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর শুনতে পান, যা ছিল স্বয়ং ঈশ্বরের। ট্রিসিয়াকে ঈশ্বর বলেছিলেন, “তোমার উচিত আইনজীবী নয়, শিক্ষক হওয়া, যাতে তুমি ছাত্রছাত্রীদের ভয় কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারো।” এই কথোপকথনের পর পরই ট্রিসিয়া হঠাৎ তাঁর শরীরে ফিরে আসেন এবং আইসিইউতে উঠে বসেন। সম্পূর্ণ জ্ঞান ফিরে আসার পর নার্সের কাছ থেকে জানতে পারেন যে তিনি তিন মিনিট ধরে মৃত অবস্থায় ছিলেন।
advertisement
যখন তিনি তাঁর পরিবারকে এই কথাগুলো বলেন, তখন তাঁর মা ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বাস করেননি যতক্ষণ না ট্রিসিয়া মাকে তাঁর সৎ-বাবার চকোলেট কেনার কথা বলেন। তাঁর পরিবার এখনও বিশ্বাস করেন যে এটি আদতে হ্যালুসিনেশন। কিন্তু ট্রিসিয়ার ঈশ্বরের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস অটুট, সুস্থ হওয়ার পর তিনি আবার কলেজে ভর্তি হন এবং আইনজীবীর পরিবর্তে শিক্ষক হওয়ার জন্য পড়াশোনা শুরু করেন। বর্তমানে ট্রিসিয়া একজন ইংরেজি-শিক্ষিকা এবং মানুষকে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করছেন তিনি।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
মরেই গিয়েছিলেন ! ৩ মিনিট পরে চোখ খুলে এমন সত্য প্রকাশ মেয়ের যে সবাই হতবাক, জানলে আপনারও বুক কেঁপে উঠবে
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: শীতের আমেজ ! কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা নামবে, দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই
শীতের আমেজ ! কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা নামবে, দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই
  • শীতের আমেজ !

  • কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা নামবে

  • দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই

VIEW MORE
advertisement
advertisement