#মালদহ: দু’জনেই দল বদল করেছিলেন। মালদহ-মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস দুর্গ দখল করতে দু’জনের ওপরই ভরসা রেখেছিল তৃণমূল। কিন্তু ভোটে হেরে মৌসম বেনজির নূর ও অপূর্ব সরকারের রাজনৈতিক ভবিষ্যতই এখন প্রশ্নের মুখে।
তিনি মালদহের কোতোয়ালি বাড়ির সদস্য। গনি পরিবারের অন্যতম উত্তরসূরিও। মালদহ উত্তর লোকসভার দু’বারের সাংসদ, ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছিলেন। এবার প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটেই। কিন্তু দলবদলে জয় এল কই? বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুর কাছে আশি হাজারেরও বেশি ভোটে হারলেন মৌসম বেনজির নূর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,- মৌসমের দল বদলের ফলে ভোট ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল মালদহ উত্তরে- গনি পরিবারের সাবেক ভোটব্যাঙ্ক পুরোপুরি নিজের দিকে টানতে পারেননি মৌসম- তৃণমূল বিরোধী ‘বাম’ ভোট বিজেপিতে যাওয়াও মৌসমের হারে ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে
মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড। সেই পরিচিতি ছুড়ে ফেলে, তিনিও কংগ্রেস থেকে নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূলে। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে চলে এসেছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। দলের নির্দেশে এবার এককালের গুরু অধীরের বিরুদ্ধেই প্রার্থী হয়েছিলেন বহরমপুর থেকে। কিন্তু ভোটের ফলে স্পষ্ট, গুরু মারা বিদ্যাটি এখনও রপ্ত করতে পারেননি ডেভিড। দলবদলে সাংসদ হওয়ার স্বপ্ন তো হাতছাড়া হয়েইছে, হাতছাড়া হয়েছে চার বারের জেতা কান্দি বিধানসভাও। বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সফিউল আলম খানের কাছে হেরে গিয়েছেন তৃণমূলের গৌতম রায়। এই পরিস্থিতিতে পেনসিলের মতো ডেভিডের হাতে থাকল স্রেফ কান্দির পুরপ্রধানের পদটা।সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের পর মৌসম আর ডেভিডের রাজনৈতিক ভবিষ্যতই প্রশ্নচিহ্নের মুখে।
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।