জলপাইগুড়ি: চৈত্রের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। বৈশাখ আসছে। কত রকমারি আয়োজন থাকে বাংলা নববর্ষকে শুভেচ্ছা জানানোর উদ্দ্যেশ্যে। হালখাতা সেসব আয়োজনেরই একটি অংশ। নিছক হিসেবের খাতা হালনগদ করার আনুষ্ঠানিকতাই নয়, পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা আয়োজন করেন হালখাতা। দোকানপাটে থাকে পরিপাটি সাজ। ফুল, মালা দিয়ে সাজিয়ে এ দিন দোকানে দোকানে গণেশের পুজো করা হয়। নতুন খাতার প্রথম পাতায় নতুন কিছুর সূচনার প্রতীক হিসেবে স্বস্তিক এঁকে শুরু হয় নতুন বছরের হিসেব নিকেশ।
নতুন বছরে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো চলে, সিদ্ধিদাতা গণেশের কাছে ব্যবসায়ীরা তারই প্রার্থনা করেন। কিন্তু ডিজিটাল যুগে সবকিছুই এখন কম্পিউটার নির্ভর। তাই স্বাভাবিক ভাবেই কমে গিয়েছে হিসেব রাখার খাতার ব্যবহারও। আগের থেকে অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে পয়লা বৈশাখের এই হালখাতার উত্সব।
আরও পড়ুনঃ এক মুঠো মুড়ি ভিতর থেকে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে শরীর! কী থেকে ঘটছে? শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
প্রায় চার দশক ধরে এই হাল খাতা বা জাবেদা খাতা নিয়ে বিহার থেকে জলপাইগুড়ি পাড়ি দেন আবির হোসেন। আসন্ন বাংলার নববর্ষ, এই ডিজিটাল যুগেও ঐতিহ্য রক্ষার্থে ও ব্যবসার মঙ্গল কামনায় কম বেশি প্রায় প্রতিটি ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছে হাল খাতার প্রচলন। আর এই সুযোগে যাতে কিছু কেনা বেচা হয় তাই নতুন হাল খাতা নিয়ে সুদূর বিহার থেকে এ বারেও জলপাইগুড়িতে পা রেখেছেন আবির হোসেন।
হাল খাতার ব্যবসায়ী বিগত প্রায় চার দশক ধরে এভাবেই বাংলা নববর্ষের আগে পৌঁছে যান শহরে জাবেদা খাতা প্রস্তুত করতে। শহরের ব্যবসায়ী অরূপ মালাকার এ প্রসঙ্গে বলেন, "ছোটো থেকেই ওনার কাছ থেকে হালখাতা কেনার রেওয়াজ দেখে এসেছি। দামে কম এবং ভাল বাঁধাইয়ের জন্য ওনার এই জিনিসের চাহিদা রয়েছে শহরে।" হালখাতার ব্যবহার ক্রমেই হারাতে বসলেও আবির হোসেনের মতো মানুষেরা নতুন হালখাতা নিয়ে এ দিক-ও দিক ঘুরে বেড়ান খানিক অর্থ লাভের আশায়।
সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri, Pohela Boishakh