#শিলিগুড়ি: অনীত থাপা কোন দেশের নাগরিক? ভারত না নেপালের? তা প্রমাণ করতে হবে অনীতকেই। বুধবার শিলিগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনই দাবী তুললেন বিমল গুরুং। সম্প্রতি নেপালের একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় অনীত থাপা নেপালের নাগরিক। নেপালের বাসিন্দা হিসেবেই বিদেশ সফর করেন জিটিএ চেয়ারম্যান। এখন এ দেশে সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন। এই খবর মূহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে পাহাড়জুড়ে পোস্টার পড়ে অনীত থাপার বিরুদ্ধে। অবিলম্বে জিটিএ'র চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করার দাবী জানিয়ে পোস্টার ফেলে বিমলপন্থী মোর্চার যুব সংগঠন। পালটা অনীত থাপাও সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, এ খবরের কোনও সত্যতা নেই। পুরোটাই ভুঁয়ো। তিনি ভারতেরই নাগরিক। এখানেই তাঁর জন্ম এবং স্কুল, কলেজে বেড়ে ওঠা।
নির্বাচনের আগে একেই হাতিয়ার করে পালটা আসরে বিমল গুরুং, অনীত থাপারা। এ দিকে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি, জিএনএলএফ এবং বিনয়-অনীতরা যে কোনও ফ্যাক্টর নয়, তাও স্পষ্ট করেন গুরুং। তাঁর দাবী, কাল বা পরশু নির্বাচন হোক, উত্তর পেয়ে যাবে। সহজেই জয়ী হবেন তাঁরা। তবে বিনয়দের সঙ্গে কোনওভাবেই এক হয়ে তারা নির্বাচন করবে না। দুই শিবিরের মেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই। বিমল গুরুং ঘুরিয়ে বিনয় তামাংদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে কে চিঠি লিখছে, তা দেখছে সকলেই। আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়েই লড়বেন। একাধিক আসন উত্তরবঙ্গ থেকে পাবেন, দাবী গুরুংয়ের। এ জন্যে পরিশ্রম করে চলেছেন। ডুয়ার্সে কয়েকটি জায়গায় অল্পবিস্তর দলের মধ্যে ফাঁকফোকড় রয়েছে। তা দ্রুত কাটিয়ে তুলতেই আগামিকাল শুক্রবার থেকে ডুয়ার্স অভিযান গুরুংবাহিনীর।
শিলিগুড়িতে বসে এ দিন বিমল গুরুং জানান, মমতা বন্দোপাধ্যায়কেই তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানোই তাঁর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য। তাঁর দলের বেশ কয়েকজন নেতার বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে তাঁর দাবী, প্রার্থী হওয়ার জন্যে গিয়েছেন। তবে কর্মীরা কেউই যাননি।
Partha Sarkar