#মালদহ: গাড়ির সামনে স্টিকার দিয়ে লেখা ফার্টিলাইজার। অথচ গাড়ির পেছনে বোঝাই করা রয়েছে সিমেন্টের বস্তা। লকডাউনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সামগ্রী পরিবহনে সরকারি ছাড় রয়েছে। কিন্তু এই সুবিধা কী সিমেন্ট পরিবহনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে? নিজের এলাকায় এমনই একাধিক সিমেন্টবোঝাই লরি আটকে এই প্রশ্ন তুললেন মালদহে তৃণমূল কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি।
তাঁর নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু লোকজন শুক্রবার সকালে মালদা শহরের মহানন্দা পল্লী এলাকায় কিছু সিমেন্ট বোঝাই লরি আটকে বিক্ষোভ দেখান। পরে অবশ্য ওই গাড়ি গুলিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানাগিয়েছে, মালদহের ঝলঝলিয়া এলাকায় রয়েছে রেলের ইয়ার্ড। এখানে গত বেশ কিছুদিন ধরে সিমেন্টের ৩১টি রেক আটকে ছিল। কারণ লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ শ্রমিক এবং পরিবহন কর্মীরা এই মালপত্র গুলি ট্রেনের থেকে নামানো এবং ট্রাকে পরিবহনের কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু আচমকাই শুক্রবার সকাল থেকে দেখা যায়, সামনে ফার্টিলাইজার স্টিকার লাগিয়ে একের পর এক সিমেন্ট বোঝাই লরি চলছে শহরের রাস্তায়। এতে ক্ষুব্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর।
ফার্টিলাইজার লেখা গাড়িতে সিমেন্টের পরিবহন চলছে , জেলা প্রশাসন কিভাবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে সিমেন্ট পরিবহনে ছাড়পত্র দিতে পারে সেই প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় কাউন্সিলর। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, করোনা রুখতে এলাকায় পুরসভার উদ্যোগে স্যানিটেশনের কাজ হচ্ছে। এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা চলছে। এরপরেও রেলের ইয়ার্ড থাকায় গত কয়েকদিন সারবোঝাই লরি চলাচল করে। কিন্তু সেইসময় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবার জন্য পরিবহনে আপত্তি তোলা হয়নি। কিন্তু এদিন সকাল থেকে আচমকাই প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে বলে দাবি করে একের পর এক ট্রাক বোঝাই করে শুরু হয় সিমেন্ট পরিবহন। এরফলে এলাকায় যানজট পরিস্থিতিও তৈরি হয়।
ঘটনায় মালদা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেছেন, সিমেন্ট বোঝাই রেলের রেক গুলি খালি করার প্রয়োজন ছিল। এজন্যই রেক থেকে সিমেন্ট গুদামজাত করার অনুমতি দেওয়া হয়।
Sebak DebSarma
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cement, Corona Lockdown, Fertilizer, Malda, Transportation