#দার্জিলিং: লকডাউ শেষে আনলক পাহাড়। আজ থেকে দার্জিলিংয়ে খুলতে শুরু করেছে হোটেলের দরজা। কর্মীদের বকেয়া বেতন নিয়ে বুধবার বৈঠক। এখন পর্যটকদের পথ চেয়ে পাহাড়ের রানি। আড়াই মাস পর খুলল হোটেল! শৈলশহরে আনলক ওয়ানের দ্বিতীয় সপ্তাহেই খুলল একাধীক হোটেল। ধাপে ধাপে খুলবে আরো হোটেল। আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন হোটেলে চলে সাফাইয়ের কাজ। টানা ৮০ দিন যে বন্ধ ছিল হোটেলের শাটার। লকডাউনের ধূলো ঝেড়ে মঙ্গলবার থেকে খুলতে শুরু করেছে দার্জিলিঙের হোটেল। রুমগুলিতেও চলে সাফাইয়ের কাজ। স্যানিটাইজও করা হয়। দার্জিলিংয়ে কমপক্ষে প্রায় সাড়ে ৩০০ হোটেল রয়েছে। তার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার কর্মীর জীবন-জীবিকা। পরোক্ষভাবে পর্যটনের উপরই গোটা পাহাড় নির্ভরশীল। কিন্তু খোলাই সার! দেখা নেই পর্যটকদের। নেই বুকিংও!
জিটিএ'ও আপাতত পর্যটকদের পাহাড়ে বেড়াতে আসার অনুমোদন দেয়নি। কেননা পাহাড়েও প্রতিদিন বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, জানা নেই হোটেল ব্যবসায়ী থেকে ট্যুর অপারেটার্সদের। একই অবস্থা পাহাড়ের গাড়ি চালকদেরও। অতিথি নেই! ভাড়াও নেই! মাঝে হোটেল খোলা নিয়ে বেঁকে বসে দার্জিলিং হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন। লকডাউনে প্রায় আড়াই মাস পর্যটকদের আসা যাওয়া বন্ধ। কবে পর্যটকদের পা পড়বে পাহাড়ে, তাও জানান নেই। তাই লোকসান ঠেকাতে পয়লা জুলাই থেকে পাহাড়ের সব হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ৬৫% কেটে বেতন দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয় মালিকপক্ষ। এরপরই GTA, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ। সোমবার লালকুঠিতে বৈঠকের পর মঙ্গলবার থেকে ধাপে ধাপে হোটেল খোলার সিদ্ধান্ত। বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য তৈরি হয়েছে কমিটি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে কর্মী সংগঠন। সেই জট কাটাতে কাল অর্থাৎ বুধবার পাহাড়ে বৈঠকে বসবে নবগঠিত কমিটির সদস্যরা। থাকবেন হোটেল মালিক এবং কর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বুকিং না থাকায় দুশ্চিন্তার আবহেই হোটেল খুলছে তারা।
রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, অনেক দিন পর হোটেল খুললো। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। মানাভবে কোভিড প্রোটোকল। ট্যুর অপারেটার তাপস সাধন রায় জানান, এটা ভালো দিক। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরবে পাহাড়ের পর্যটন শিল্পও। কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে জিটিএও। তবে আপাতত পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমনে "না" নির্দেশিকাই জারি থাকছে। পর্যটকদের নিয়েই বেঁচে থাকে শৈলশহর। করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে পাহাড়ের রানি।
Partha Pratim Sarkar