রুদ্র নারায়ন রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: আমজনতা গরমে হাঁসফাঁস করলেও মুখে হাসি ফুটেছে পাখা তৈরির কারিগরদের। আর লোডশেডিং এর দাপট বাড়তেই হাতপাখার চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। হালে হাত পাখা তৈরির কারখানায় চলছে কারিগরদের চূড়ান্ত ব্যস্ততা। তারা নিজেরা গরম সহ্য করে অপরের শরীরকে ঠাণ্ডা করতে তৈরি করছেন হাতপাখা। বর্ষার আগেই পাখা বিক্রি করে ভালো মুনাফা ঘরে তুলতে হাতপাখা তৈরীর কারখানাগুলোতে চলছে প্রতিযোগিতা। এমনই ছবি ধরা পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। দীর্ঘ দু'বছর লকডাউন ও করোনা আবহে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে তেমন ভাবে ব্যবসা জমেনি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই ফের ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে পাখা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে। জানা গেছে, এক জন পাখা শিল্পী দিনে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার পাখা প্রস্তুত করতে পারেন। আর মজুরি নির্ধারিত হয় কাজের পরিমাণের ওপর। তবে পাখা শিল্পীদের আক্ষেপ, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর তারা যে মজুরি টুকু পান তাতে ঠিক মত চলে না সংসার। তাদের আবেদন, এই পাখা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা দেওয়া হয় তবে বেঁচে যেতে পারে পাখা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা শিল্পীরা। বিগত দিনে চাহিদার পরিমাণ অতিরিক্ত থাকায় পাখার কারখানা থেকে জেলা তো বটেই বাংলার অন্যান্য জেলার পাশাপাশি ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে গোবরডাঙ্গার হাতপাখা।অতীতে তালপাতার পাখার ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বর্তমানে তাল পাতার অভাবে সেভাবে তৈরি হয় না তালপাতার পাখা। সেই চাহিদা মেটাতে বাজারে এসেছে প্লাস্টিকের তৈরি পাখা। যে পাখার দাম তালপাতার পাখার চেয়ে অনেকটাই কম। ফলে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে এই প্লাস্টিকের পাখার। তবে এবছর গরম বেড়েছে। তাপমাত্রার পারদও অনেকটাই চড়েছে। মাঝেমধ্যেই লোডশেডিং হতেই প্রয়োজন হচ্ছে হাতপাখার। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে একটি প্লাস্টিকের হাতপাখাই মুহূর্তে শরীরে এনে দেয় স্বস্তি। আর সেই কারণে হাতপাখার চাহিদার যোগান দিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন হাতপাখা শিল্পীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Gobordanga, North 24 Parganas