#আগরতলা: তৃণমূলের আরও কাছে সুদীপ রায় বর্মণ। নিহত তৃণমূল কর্মী মজিবর ইসলাম মজুমদারের বাড়িতে এদিন পৌঁছে যান ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। সঙ্গে ছিলেন বাধারঘাটের স্থানীয় বিধায়ক বিজেপির আশিষ সাহা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে আগরতলায় নিয়ে আসা হয় নিহত মজিবর ইসলাম মজুমদারের দেহ। তৃণমূলের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ শান্তনু সেন দেহ নিয়ে আসেন আগরতলায়৷ শুক্রবার সকালে মজিবরের দেহ নিয়ে আসায় বাধারঘাটে তার বাড়িতে।
সেখানেই তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হল বিজেপির দুই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ ও আশিষ সাহা। এদিন সুদীপ রায় বর্মণ অভিযোগ করেন, "গত ২৮ আগস্ট যে সব দুষ্কৃতীকারীরা মজিবরের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তাতে খুনের অভিযোগের ধারা যোগ করে তদন্ত করতে হবে।" একই সাথে এদিন সুদীপ রায় বর্মণ অভিযোগ করেন, "গত ২৮ আগস্ট মজিবরের হাত শুধু মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে তাই নয়, একই সাথে তার বুকে একাধিকবার লাথি মারা হয়েছে। ফলে আঘাত এতটাই গুরুতর হয়ে যায় যে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করেও রিকভার করতে পারল না মজিবর।"
এদিন বিজেপি বিধায়কের গলায় একাধিকবার তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। আগামীদিনে সমস্ত ধরণের সাহায্যের আশ্বাস দেন। এদিন ব্রাত্য বসু-শান্তনু সেন-রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের তরফে তাদের দলের নির্দেশ মতো সাহায্য তুলে দেওয়া হয় মজিবরের পরিবারের হাতে।
আরও পড়ুন: কাজ করতে গেলেই নাক গলান রাজ্যপাল! মোদির কাছে ভার্চুয়াল-অনুযোগ মমতার
ব্রাত্য বসু জানান, "বিজেপি বেছে বেছে সাধারণ মানুষকেই মারধর করছে৷ ত্রিপুরার মানুষ দাঁতে দাঁত চেপে সব কিছু সহ্য করছে। উচিত সময়ে সব জবাব দেবে মানুষ। একটা মানুষ বিজেপির মারে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বিমানে চেপে জ্যান্ত গেল আর তাকেই নিয়ে আসতে হল বিমানের পেটে করে কফিন বন্দি করে। ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রথম শহীদকে মানুষ মনে রাখবে।"
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়েই পুরভোট নাকি পিছোচ্ছে? সব নজর মঙ্গলবারের দিকে...
এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন শান্তনু সেনও। তিনি জানিয়েছেন, "বাধারঘাটের এই বাড়ি থেকেই আমরা নিয়ে গিয়েছিলাম মজিবরকে। তার দেহ নিয়ে ফেরত আসতে হল আমাদের। এর চেয়ে বড় দুঃখের আর কিছু নেই।" কিন্তু তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর পর তার বাড়িতে বিজেপি বিধায়কদের উপস্থিতি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজনৈতিক মহলের মতে, সুদীপ রায় বর্মণ দীর্ঘ দিন ধরেই বিজেপির একাধিক নীতির সমালোচনা করে আসছেন। তৃণমূল যখন তাদের কর্মীর মৃত্যুর জন্যে দায়ী করছে বিজেপিকে। তখন বিজেপি বিধায়কের এভাবে পাশে দাঁড়িয়ে যাওয়া বিধানসভা ভোটের এক বছর আগে রাজনৈতিক চর্চা বাড়িয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: TMC Tripura, Tripura BJP, Tripura Politics