Tripura: চিকিৎসার জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হবে না, চ্যালেঞ্জ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার
- Published by:Rukmini Mazumder
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করছে ত্রিপুরা
ত্রিপুরা: ত্রিপুরায় স্বাস্থ্য পরিষেবার মানের সার্বিক উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩টি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ত্রিপুরায় একটি স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। হাসপাতালগুলিতে আরও চিকিৎসক নিয়োগের জন্য নীতিগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে সমস্ত চিকিৎসকদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকদের খুব চাপের মধ্য দিয়ে এবং মানবিক স্পর্শ নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই তাঁদের অবশ্যই সম্মান করা প্রয়োজন। রোগী ও ডাক্তারদের আনুপাতিক হারের নিরিখে একটা মানসিক চাপ বোধ থাকে। আর এ’বিষয়টি বুঝতে হবে সাধারণ মানুষকেও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যেও প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালন করা হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে এই সরকার। রোগীদের কল্যাণে নানা সুযোগ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯টি সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। পিএম ডিভাইন প্রকল্পের প্রায় ২০২ কোটি টাকা বরাদ্দে আগরতলা সরকারি ডেন্টাল কলেজের কাজ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ‘মন কি বাত’ কার্যক্রমে জাতীয় চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
advertisement
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এবারের বাজেটে আইএলএস সংলগ্ন স্থানে ১০০ শয্যার একটি অত্যাধুনিক চক্ষু হাসপাতাল খোলার জন্য আর্থিক সংস্থান রাখা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের বাইরে থাকা ডাক্তার ছেলেমেয়েরাও রাজ্যে আসতে চাইছেন। তাই তাঁদের সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
advertisement
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার জন্য এই সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ডোনার মন্ত্রক থেকে প্রায় ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দে বিশ্রামগঞ্জে একটি আধুনিক নেশা মুক্তি কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যেকটি জেলায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি করে নেশা মুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি টাকার দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন আরোগ্য যোজনায় প্রায় ২৩৯ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে ট্রমা কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমবাসায় কার্ডিও কেয়ার সেন্টার খোলা হয়েছে। জিবি ও আইজিএমে চাপ কমাতে জেলা হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডাক্তারদের আরও পদোন্নতি দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে নতুন ডাক্তার নিয়োগের জন্য টিপিএসসি-এর কাছে পাঠানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই নিয়োগ করা হবে।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বর্তমানে ৪০০টি এমবিবিএস আসন রয়েছে। ডেন্টাল কলেজে ৬৩টি এবং বিএসসি নার্সিংয়ে ৫০টি আসন রয়েছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন কলেজ ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে ত্রিপুরায় একটি স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার। ইতিমধ্যে জিবি হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের জন্য মাত্র ১০ টাকা মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারত মাতা ক্যান্টিন ও নাইট শেল্টার শুরু করা হচ্ছে। গতকাল এজিএমসিতে তৃতীয়বারের মতো সফলভাবে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার জন্য মোহন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্যও কথা হচ্ছে।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 02, 2025 10:36 AM IST