TMC In Tripura: ত্রিপুরায় পার্টি অফিসে ভাঙচুর! এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চায় প্রতিনিধি দল, ডিজি-র সঙ্গেও দেখা

Last Updated:

যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় কি বন্যা হয়েছে? ওনারা ওখানে গেছেন কেন? ত্রিপুরায় নাটক না করে, উত্তরবঙ্গে এসে সাংসদরা দায়িত্ব নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াক।’’

* আজ ত্রিপুরার রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে চায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
* আজ ত্রিপুরার রাজ্যপালের সাথে দেখা করতে চায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
আগরতলা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনার পরে অবশেষে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল৷ আগরতলায় তৃণমূলের সদর দফতরে পৌঁছে সরেজমিনে তাঁরা খতিয়ে দেখেন কীভাবে তছনছ হয়েছে সব। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সবটা দেখান। বুধবার ত্রিপুরা পুলিশের ডিজির সঙ্গেও দেখা করে তাঁকে সব অভিযোগ প্রমাণ-নথি-সহ দিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্য সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ও সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সুদীপ রাহা। ত্রিপুরার রাজ্যপালের কাছেও তাঁরা সময় চেয়েছেন দেখা করার।
ডিজির সঙ্গে দেখা করার পর প্রতিমা মণ্ডল ও কুণাল ঘোষ জানান, ‘‘আমরা সবটা জানিয়ে অনুরোধ করেছি দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু তাই নয় অতীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা-সহ সায়নী ঘোষ, সুদীপ রাহা ও অন্য তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে সেই অভিযোগগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ সুয়োমোটো মামলা করবে নাকি আমরা অভিযোগ করব সেটা স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
advertisement
advertisement
দলীয় দফতরে বসেই তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপির নেতারা বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেন, ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৬০ দিন বাংলায় ফাইভ স্টার হোটেল ভাড়া করে পড়ে থাকেন— কোনও বাধা পান না। আর বিজেপিশাসিত ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রতিনিধিরা এলেই বাধার মুখে পড়েন! এতেই বোঝা যায় ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। বাংলার ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার— মা-মাটি-মানুষের সরকারে গণতন্ত্র আছে। কুণাল ঘোষ বলেন, খগেন মুর্মুর সঙ্গে যা হয়েছে সেটা তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থন করে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দেখে এসেছেন। কিন্তু ত্রিপুরাতে বিজেপির আমলে এলেই গাড়ি ভাঙচুর-মারধর-হেনস্থা করা হয়। বাংলায় তো দিব্যি বিজেপি নেতারা ঘুরে বেড়ান। বিয়ে বাড়ি পর্যন্ত যান। রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে কুৎসা করেন। কেউ তো কিছু বলে না! তবে এখানে এরকম কেন হবে?’’
advertisement
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় কি বন্যা হয়েছে? ওনারা ওখানে গেছেন কেন? ত্রিপুরায় নাটক না করে, উত্তরবঙ্গে এসে সাংসদরা দায়িত্ব নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াক।’’
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ কবলিত এলাকায় গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ৷ এরপরেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়৷ হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে৷ এরপরেই ত্রিপুরায় যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল৷
advertisement
অভিযোগ, ত্রিপুরা বিমানবন্দর থেকে দলীয় পার্টি অফিসে যাওয়ার জন্য চারটি গাড়ি থাকার কথা ছিল। কিন্তু ছিল একটিই মাত্র গাড়ি। এর পর বিমানবন্দরের বাইরে থাকা প্রিপেড ট্যাক্সি করে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন কুণালেরা। অভিযোগ, তাতেও বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথাও বলা হয়। কিন্তু তাতে সুরাহা না হওয়ায় বিমানবন্দর চত্বরেই ধর্না দেন তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা।
advertisement
এই ঘটনার কথা শুনে কলকাতা থেকে হুঁশিয়ারিও দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘সে রকম হলে আমিও যাব। দেখি কার কত দম!’’
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
TMC In Tripura: ত্রিপুরায় পার্টি অফিসে ভাঙচুর! এবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চায় প্রতিনিধি দল, ডিজি-র সঙ্গেও দেখা
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা ! দক্ষিণেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস
উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা ! দক্ষিণেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস
  • উত্তরবঙ্গের ৩ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা !

  • দক্ষিণেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস

  • জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement