‘গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার’, এই ঐতিহাসিক রায় ৩৭৭ ধারা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিল

‘গোপনীয়তা মৌলিক অধিকার’, এই ঐতিহাসিক রায় ৩৭৭ ধারা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিল

  • Last Updated :
  • Share this:

    #নয়াদিল্লি: একই রায়ে গোপনীয়তা, রাষ্ট্রের নজরদারি, সমকামিতা, গর্ভপাত ও খাদ্যভ্যাসের অধিকার নিয়ে চর্চা। বৃহস্পতিবারের রায়ে যেন প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিলেন সর্বোচ্চ আদালতের নয় বিচারপতি। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু আধার কার্ড নয় আরও অনেক বিষয়কেই আলোচনার বৃত্তে টেনে আনল সুপ্রিম কোর্ট। উসকে দিল আইন সংশোধনের প্রশ্ন। গোপনীয়তার অধিকারের আওতায় বহু বিষয়, মোট ৫৪৭ পাতার রায়ে জানাল সুপ্রিম কোর্ট ৷

    শীর্ষ আদালতের গোপনীয়তা নিয়ে এদিনের ঐতিহাসিক রায় ২০১৩ সালে সু্প্রিম কোর্টের ৩৭৭ ধারা নিয়ে দেওয়া পর্যবেক্ষণকে আরও একবার পর্যালোচনার দরজা খুলে দিল ৷

    এদিন সু্প্রিম কোর্ট জানায়,

    ‘আর্টিকেল ৩৭৭ আইনগত ভাবে খারাপ। নাগরিকদের যৌনাচার ব্যক্তিগত বিষয়। যৌন অভ্যাসের জন্য যদি দেশের কোনও নাগরিকের সামাজিক পরিচিতি বা সুরক্ষা বিঘ্নিত হয়, তা হাড় হিম করার মতো ঘটনা ৷’

    বিচারক ওয়াইভি চন্দ্রচূড় গোপনীয়তা রায়ের প্রসঙ্গে সমকামিতা নিয়ে বলেন,

    ‘যৌন আচরণের ভিত্তিতে কোনও ব্যক্তির প্রতি সামাজিক ভেদাভেদ চুড়ান্তভাবে আপত্তিজনক এবং ব্যক্তির আত্মসম্মানের প্রতিও অবমাননাকর ৷’

    ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্য সদস্য বিচারক সঞ্জয় কিষাণ কল বলেন,

    ‘একজন ব্যক্তির বাড়িতে কে প্রবেশ করবে, তিনি কিভাবে জীবন কাটাবেন এবং কার সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখবেন বা ঘর বাঁধবেন, তা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা ৷ পরিবার, বিয়ে, যৌন সম্পর্ক এই সমস্ত বিষয় ব্যক্তি নিজস্ব সম্মান রক্ষার খাতিরে গোপন রাখতেই পারেন ৷’

    ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে অপরাধ বলেই গণ্য করে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারাকেই লাগু করে ৷ ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতা অপরাধ এবং এই আচরণের কারণে যাবজ্জীবন সাজা পর্যন্ত হতে পারে ৷

    ২০০৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট ৩৭৭ ধারাকে বৈষম্যমূলক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী আখ্যা দিয়ে এই ধারার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল ৷

    সমকামিতা এখনও এদেশে দণ্ডনীয় অপরাধ। স্বভাবতই সুপ্রিম কোর্টের আজকের এই রায় এ নিয়েও নতুন করে ভাবনা-চিন্তা বা আইন তৈরির পথকে প্রশ্বস্ত করল।

    First published:

    Tags: Aadhaar case, Aadhaar judgment, Gay sex, Homosexuality, Right to Privacy, Section 377