#আগরতলা: হাতে থাকা হাজার দেড়েক নগদ ছাড়া অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে মাত্র ২৪১০.১৬ টাকা ৷ ত্রিপুরার মু্খ্যমন্ত্রী মাণিক সরকারের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট জানাচ্ছে এটিই তাঁর সম্বল ৷ একইসঙ্গে প্রকাশিত লাগাতার পাঁচ দফায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা মাণিক সরকারের আর্থিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে ৷ এই মুহূর্তে তিনিই দেশের সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী ৷
আসন্ন বিধানসভা ভোটের জন্য ধানপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন পেপার জমা দিয়েছেন বাম মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার ৷ আর তার থেকেই সামনে এসেছে এই তথ্য ৷ আর্থিকভাবে ‘গরিব’ থেকে আরও ‘গরিব’ হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ৷ সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত, সিপিআইএম প্রার্থী, পলিটব্যুরো সদস্য মাণিক সরকারের এই মুহূর্তের সঞ্চয় বলতে ২৪১০.১৬ টাকা ৷ যা গোটা দেশের রাজনীতিবিদ ও নেতাদের বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে ৷ শেষবার ২০১৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় নমিনেশন পেপারে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী তাঁর আগরতলা শাখার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ৯,৭২০ টাকা ৩৮ পয়সা ৷
ত্রিপুরায় সবথেকে বেশিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাণিকবাবু ৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনও সরকারি সুযোগ সুবিধা তিনি নেন না ৷ গাড়ির বদলে রিক্সায় চেপে যান বিধানসভায় ৷ বাংলো বাড়ির বদলে থাকেন ছোট্ট একটি বাড়িতে ৷ ৬৯ বছর বয়সী এই বাম মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বেতন হিসেবে পাওয়া ২৬, ৩১৫ টাকার পুরোটাই দান করেন পার্টি ফান্ডে ৷ বদলে পার্টি থেকে পাওয়া ৯,৭০০ টাকা ভাতাতেই চলে তাঁর সংসার ৷
মাণিক সরকারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে ০.০১১৮ একরের একটি জমি ৷ আগরতলার এই জমিটি উত্তরাধিকার সত্ত্বে প্রাপ্ত হলেও মাণিকবাবুর দাবি এই জমি তাঁর এবং তাঁর ভাই বোনদের যৌথ সম্পত্তি ৷
১৯৯৮ সাল থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন এই বাম নেতা ৷ তাঁর এই সরল সাধাসিধে, সাধারণ এবং নিষ্কলঙ্ক ইমেজই ত্রিপুরায় সিপিআইএম-এর ইউএসপি ৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফিরলে সম্ভবত ষষ্ঠবারের জন্যেও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন দেশের সবথেকে গরিব মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকার ৷