#বেজিং: সীমান্ত বিবাদ এড়াতে হবে যে কোনও মূল্যে। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বহুচর্চিত ভারত-চিন বৈঠকের নির্যাস এটাই। দু’দেশের সীমান্তে শান্তি আর স্থিতাবস্থা বহাল রাখাই যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্বশর্ত এবং ভিত্তি, এক ঘণ্টার বৈঠকে সে সম্পর্কে একসুর নরেন্দ্র মোদি আর শি জিনপিং। ডোকলাম পর্বের পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই প্রতিশ্রুতি দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, চিনা প্রেসিডেন্ট জোর দিয়েছেন জওহরলাল নেহরুর সময়ের পঞ্চশীল নীতির উপরেই।
ভারত-চিন সম্পর্কের বন্ধ দরজা খুলে দিল ডোকলাম। সীমান্ত বিতর্কের জের গড়াল জিয়ামেনেও। ব্রিকসের আলোচনার ফাঁকেই মোদি ও জিংপিঙের আলাদা বৈঠকে উঠে এল সীমান্ত শান্তির কথা। সীমান্ত শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পূর্ব শর্ত। নীতিগতভাবে এবিষয়ে একমত দু'দেশই।
ডোকলামের পুনরাবৃত্তি যে হবে না তাতে সম্মতি দিয়েছে চিন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে চিনা প্রেসিডেন্ট স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন জওহরলাল নেহরুর সময়ের পঞ্চশীল নীতির কথা। পরস্পরের অখণ্ডতা আর সার্বভৌমত্ব শ্রদ্ধা করা যে নীতির মূলমন্ত্র।
জিংপিঙের বার্তায় সাড়া দিয়েছেন মোদি। কিন্তু, চলতি বছরের জুন মাসে, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকেও এতটা নরম মনোভাব দেখায়নি চিন। আচমকা কূটনীতিতে এত বড় ভোলবদল কেন?
চিনের অবস্থান বদল- ডোকলাম নিয়ে চিনের চোখে চোখ রেখে বার্তা ভারতের- ভারতের সংযম আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের প্রশংসিত- তাতে বেশ কিছুটা চাপে চিন- উত্তর কোরিয়ার বারবার অস্ত্র পরীক্ষায় আন্তর্জাতিক চাপে 'বন্ধু' চিন- আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে
ভারত ডোকলামের ফসল ঘরে তুললেও, আলোচনায় ব্রাত্য থেকে গিয়েছে চিনা-পাক ইকনমিক করিডোর। কথা হয়নি ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড নিয়েও। ফলে, ডোকলাম, প্যাংগঙের তিক্ততা মুছলেও, উদ্বেগ জিইয়ে থাকলই।