#সাহারানপুর: একটি-দুটি নয় ১২১ টি প্রজাতির আম ফলে রয়েছে একই গাছে! রূপকথা নয় এমন ঘটনাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের। আর আমের এ হেন লীলায় মাত নেটিজেনরা। হিমসাগর চৌসা আম্রপালির লোভে অনেকেই গাছটির খোঁজ নিচ্ছেন। এই ম্যাজিক ট্রি একবার চোখের দেখা দেখতে সাহারানপুরে পর্যটক এর ঢল নেমেছে, জানাচ্ছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
সাহারানপুরের এই বিখ্যাত আমগাছটির দেখা মিলবে কম্পানিবাগ এলাকায়। এটি কৃষি বিজ্ঞানীদের দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার ফসল। হর্টিকালচার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার সাহারানপুর নামক সংস্থাটি সারা বছরই গাছ নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। ১৫ বছর বয়সি এই আমগাছটির উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয় ঠিক পাঁচ বছর আগে। সংস্থার জয়েন্ট ডিরেক্টর ভানুপ্রকাশ রাম বলেন, "আমরা চাইছিলাম আমের নতুন প্রজাতির সন্ধান করতে। সারা দেশে আম উৎপাদনে সাহারানপুর ইতিমধ্যেই একটির নাম হয়ে উঠেছে। আর এই গাছটির কথা এখন মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। গবেষণার মাধ্যমে আমের নতুন প্রজাতির সন্ধান পেয়েছি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ আমের নতুনতর আরও উন্নত প্রজাতির সন্ধান করতে পারে।"
কী ভাবে ১২১ টি আম ফলানোর হলো এক গাছে? ভানুরামবাবু বলছেন, "মূল গাছের বিভিন্ন শাখায় নানা প্রজাতির গাছের অংশবিশেষ জুড়ে দেওয়া হয়েছিল কৃত্রিম ভাবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিটি অংশের যত্ন করা হয়েছে আলাদা আলাদা করে। একেকটি শাখায় প্রকৃতি একেক রকম, প্রত্যেকটি শাখাই যেন একেকটি আলাদা গাছ। ফলে একটি গাছ থেকেই পাওয়া যাচ্ছে ল্যাংড়া, চৌসা, আম্রপালি, সাহারানপুর অরুণ, সাহারানপুর বরুণ, সাহারানপুর সৌরভ, সাহারানপুর গৌরব সাহারানপুর রাজীব, মালদহ, মুম্বই, গোলাবুলেন্দশহর-সহ আরও বহু প্রজাতির আম।"
অবশ্য এটাই প্রথম নয় এক গাছে ৩০০ প্রজাতির আম ফলানোর রেকর্ড রয়েছে এই ভারতবর্ষে, উত্তর প্রদেশেই। ২০০৮ সালে এ রাজ্যের মালিহাবাদ অঞ্চলের চাষী কলিমুল্লাহ খান এক গাছে ৩০০ প্রজাতির আম ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দেন। ম্যাঙ্গো ম্যান ম্যান অফ ইন্ডিয়া বলা হয় কলিমুল্লাহকে। তাঁকে। ২০০৮ সালে তিনি পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mango, Mango in UP