#পাটনা:
একে তো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। তার মধ্যে প্রবল গরম। আর তার থেকেও বড় সমস্যা এখন সরষের তেলের লাগাতর দামবৃদ্ধি। বাংলার মতো বিহারও গত কয়েক মাসে সরষের তেলের দাম বৃদ্ধিতে জেরবার। মধ্যবিত্তের হাঁসফাস অবস্থা পাশের রাজ্যে। একে তো সারা দেশে লাগাতর বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। তার উপর ভোজ্য তেলের এই মূল্যবৃদ্ধিও সাধারণ মানুষের পকেট ফাঁকা করে দিচ্ছে। পেট্রোল, ডিজেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সরষের তেলের দাম। এমনিতেই করোনার দাপটে দেশে চাকরি ও ব্যবসার বাজারে মন্দা। লকডাউনে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা। তার মধ্যে মৃল্যবৃদ্ধি! মধ্যবিত্তের যেন সঞ্চয়ের আর কোনও পথই খোলা নেই।পাটনায় ২০০ থেকে ২২০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে সরষের তেল। গত বছরও লকডাউনের সময় বিহারে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা লিটার সরষের তেল বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার সেই দাম প্রায় দ্বিগুণ। সরষের তেলের হেঁসেলের রোজকার জিনিস। এমন সামগ্রীর দাম এতটা বাড়লে মধ্য়বিত্তের নাভিশ্বাস ওঠা স্বাভাবিক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আছড়ে পড়ার পর থেকে বেশ কিছু নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম বেড়েছে। তবে সরষের তেল যেন গত কয়েক মাসে মহার্ঘ হয়ে উঠেছে। হঠাত্ এতটা দাম বাড়ার কারণও স্পষ্ট নয়। পাটনার বাজারে যে ব্র্যান্ডের সরষের তেল সব থেকে বেশি বিক্রি হয়, সেটির লিটার ২২০ টাকা। সব থেকে কম বিক্রি যে ব্র্যান্ডের তার লিটার ১৮০ টাকা।
বিহারের ব্যবসায়ীদের দাবি, গত বছরের তুলনায় এবার সরষের ফলন অনেকটাই কম। তার উপর বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউনের জেরে সরষে আমদানিও হয়নি বিহারে। তাই এতটা মূল্যবৃদ্ধি বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া অন্য রাজ্যের সস্তার সরষের তেলও বিক্রি হয় বিহারে। লকডাউনে সেগুলিরও জোগান নেই। তার উপর ট্রেন বন্ধ। মাল আসছে সড়কপথে। ফলে দাম আগের থেকে বেশি পড়ছে। তবে সরষের তেলের দাম কবে কমবে তা নিয়ে এখনই আশার কথা বলতে পারছে না কেউ। আসলে এখনও দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বেশ কয়েকটি রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে। তাই আপাতত মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা সমাধান হবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bihar, Mustard Oil, Oil Price Hike, Price Hike