#নয়া দিল্লি: ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ আর লকডাউনে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প তথা MSME সেক্টর। লকডাউনের জেরে কার্যত লাটে উঠেছিল ব্যবসা। এরে জেরে উৎপাদন, সরবরাহ থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান-সহ একাধিক ক্ষেত্রেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে গত বছর আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় । সেখান থেকে খানিকটা উপকৃত হয়েছিল এই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি। এবার তারা আসন্ন বাজেটের দিকে তাকিয়ে। কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে দেশের MSME সংস্থগুলি? কোন খাতে বাড়াতে হবে বরাদ্দ? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!
ঋণে MSME-দের জন্য ২ শতাংশ ইন্টারেস্ট সাবভেনশন স্কিম (Interest Subvention Scheme) কমপক্ষে ৩-৪ শতাংশ বাড়াতে হবে। যার ফলে অর্থের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি টাকায়। বাড়বে কভারেজও। এর জেরে দেশের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে অনেকটা পরিবর্তন আসতে পারে। আসন্ন বাজেট থেকে এমনই আশা করছেন ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের (ICC) প্রেসিডেন্ট বিকাশ আগরওয়াল (Vikash Agarwal)। ICC-এর মতে MSME সেক্টরে ১২০ মিলিয়নের কাছাকাছি মানুষ কর্মরত। এই ক্ষেত্রের পরিসর বাড়ানো হলে দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হবে। তবে এই ইন্টারেস্ট সাবভেনশন স্কিমের সাহায্যে GST-এর ক্ষেত্রেও অনেকটা ছাড় দেওয়া যেতে পারে। এর জেরে অন্যান্য ছোট সংস্থাগুলি এগিয়ে আসবে।
মাইক্রো অ্যান্ড স্মল এন্টারপ্রাইজ স্কিমের (Micro And SmalI Enterprise Scheme) ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ডের অধীনে অর্থ সাহায্য পায় MSME সেক্টর। একটি জামানত মুক্ত বা কোলাটেরাল ফ্রি লোন পাওয়া যায়। এই বিষয়ে, VPTP & Co-এর ফাউন্ডার পার্টনার প্রীতম গোয়েল ( Pritam Goel) জানিয়েছেন, বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি MSME সংস্থা। তাঁদের আশা এই কোলাটেরাল ফ্রি লোনের সীমা বাড়ানো হোক। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র শিল্পগুলির জন্য ৫ কোটি পর্যন্ত, ছোট শিল্পের জন্য ১৫ কোটি ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৩৫ কোটি পর্যন্ত কোলাটেরাল লোন বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। যদি তা হয়, একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন আসবে। আপাতত সময়ের অপেক্ষা।
উল্লেখ্য, গত বছর আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়। অর্থমন্ত্রকের কথায়, যা দেশের GDP-র প্রায় ১০ শতাংশ। সেই সূত্রে দেশের MSME অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হয়। এই প্যাকেজের অধীনে দেশের MSME সেক্টরের জন্য একাধিক ঘোষণা করা হয়েছিল। উৎপাদন ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র শিল্পে আগে ২৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হত, পরে তা বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা করা হয়। ৫০ হাজার কোটি টাকার তহবিলও তৈরি করা হয়েছিল। এগুলির পাশাপাশি দুর্বল ও ঋণগ্রস্ত সংস্থাগুলিকে ২০ হাজার কোটি টাকার নগদ সাহায্য করা হয়। চার বছরের জন্য এই ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।