এস এস দেশওয়াল
#নয়াদিল্লি : ভারত একটি দ্রুত উদীয়মান জাতি — স্বীকৃত এবং প্রয়োজনীয় পরিস্থিতিতে এ দেশের নেতৃত্ব দিয়ে দিকনির্দেশনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রায় ১৩৫ কোটি ভারতীয়দের জন্য বিশাল পরিকাঠামো তৈরি করা এবং দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সময় বিশ্বব্যাপী নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বব্যাপী সমস্ত জনজাতিকে ভারতের দিকে আকৃষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে, বিশ্ব নেতৃত্ব আশাবাদী যে ভারত এই অঞ্চলে শান্তি আলোচনা করতে সক্ষম হবে এবং বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলিকে গম ইত্যাদি খাদ্যশস্য সরবরাহ করে ক্ষুধা দূর করার জন্য কাজ করবে ভারত। বৃহত্তর মানবতার জন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল জলবায়ু পরিবর্তন; ভারত মাতৃভূমি রক্ষার পাশাপাশি ক্ষুদ্র, দরিদ্র এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কঠিন সময়ে ভারত আশার আলো। বৈশ্বিক সম্প্রদায়ে ভারতের অস্তিত্ব, অংশগ্রহণ এবং অবদানে একটি সামুদ্রিক পরিবর্তন ঘটেছে।
আরও পড়ুন: মোদি সরকারের ৮ বছর, অমিত শাহের কথায় ২০৪৭! কেন উঠল ২৫ বছর পরের কথা?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদৃষ্টি, জাতীয়তাবাদ, মানবতার প্রতি মমতা, শেখার এবং শোনার আগ্রহ, দেশের উন্নয়নের প্রতি নিষ্ঠা অতুলনীয়। এই বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের মতো বিপজ্জনক পরিণতি সম্পর্কে ধনী ও উন্নত দেশগুলিকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ভারতকে একটি "আশার জাতি" করে তুলেছে।
জওয়ানদের সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হয় কারণ তাঁরা সর্বদা তাদের প্রয়োজনীয় সমর্থন পাওয়ার জন্য দেশের নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ব্যক্তিগত সম্পর্কে বিশ্বাস করেন কারণ তিনি বোঝেন যে সৈন্যদের মনোবল উচ্চ রাখতে তাঁদের প্রতিনিয়ত সমর্থন দেওয়া প্রয়োজন। তাই তিনি প্রায়ই সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং গত আট বছরে জওয়ানদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন প্রতিনিয়ত। এমনকি করোনাকাল ছাড়া প্রতিবছর দীপাবলিতে সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাটিয়ে সর্বোচ্চ নেতৃত্ব হিসেবে দৃষ্টান্ত তৈরী করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সর্ষে সয়াবিন-সহ ভোজ্যতেলের দামে মারকাটারি পতন! ১ লিটারের রেট কত? দেখুন তালিকা
৮ নভেম্বর, ২০১৮-এ কেদারনাথ যাওয়ার পথে তিনি যখন হারসিল পরিদর্শন করেছিলেন তখন আমার এই ইভেন্টগুলির অংশ হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি কৈলাস মানসরোবর যাত্রা গ্রামের সকলের নাম শেয়ার করেছিলেন, যেগুলিতে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP) দশকের পর দশক তার সঙ্গী ছিল। হারসিল ক্যান্টনমেন্ট-এ পৌঁছে ভাগীরথী নদীর তীরে ঠাণ্ডা ও জমাট বাঁধা অবস্থায়ও তিনি সেখানে নেমেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ওই প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতেও সেখানে গিয়ে পুজো করে ফিরে আসেন। এটি সু-সমন্বিত শারীরিক শক্তির সঙ্গে তাঁর ভিতরকার দৃঢ় মানসিক শক্তিও প্রকাশ করে।
গত আট বছরে, প্রধানমন্ত্রী বার বারই নিশ্চিত করেছেন যাতে সীমান্ত গ্রামগুলি পর্যাপ্ত পরিকাঠামো পায়। আমি, ITBP-এর মহাপরিচালক হিসাবে, চিনা আগ্রাসন সত্ত্বেও কাজের পথে যেন পরিকাঠামোগত বাধা না আসে তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আমায়। এখন লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের ৭৫% সীমান্ত চৌকিতে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি এবং উৎসাহেরই ফল। এমনকি কোভিড -19 মহামারীর সময় যখন অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে এবং কেন্দ্রের তহবিলেও ঘাটতি ছিল, তারইমধ্যে ২০২০ সালে যখন চিনারা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল তখন অবকাঠামোর জন্য অর্থ সরবরাহ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছিলেন যে সীমান্তে মোতায়েন সৈন্যদের তার সরাসরি সমর্থন প্রয়োজন তাই তিনি লাদাখের অগ্রবর্তী অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করেন এবং তাদের মনোবল বাড়িয়েছেন নিজেই। তিনি সর্বদা সেনাবাহিনীর জীবনযাত্রার পরিস্থিতিতে ও হালহকিকত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। তাদের বিশেষ শীতকালীন ইউনিফর্ম, পরিবহন এবং যোগাযোগের মাধ্যম সরবরাহ করা হয়েছিল যা বাহিনীকে আধুনিকীকরণে সহায়তা করেছিল। সেদিনের সংঘাতের সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার তার কৌশল এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সর্বদা তৎপর ছিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।