#ছত্তিশগঢ়:
লাইট মেশিনগান থেকে শুরু করে আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার, একের পর এক অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে ছত্তিশগঢ়ের বিজপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল প্রায় ৭০০ মাওবাদী। বাহিনীর উপর হামলা হতে পারে এমন আন্দাজ আগেই করেছিলেন সিআরপিএফ আধিকারিকরা। তাই বিজপুর-সুকমা জেলার সীমান্তের ওই পাহাড়ি অঞ্চলে প্রায় দুহাজার জওয়ান নামানো হয়েছিল। খবর ছিল জোনাগুরার ওই এলাকায় মাওবাদী দলের পাণ্ডারা রয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে ওই এলাকায় হামলা চালিয়েছিল সিআরপিএফ, এসটিএফ, পুলিশের যৌথ বাহিনী। কিন্তু জওয়ানরা আন্দাজ করতে পারেননি, মাওবাদীরা আগে থেকেই তাঁদের জন্য ফাঁদ পেতে রেখেছিল। বাহিনী ওই এলাকায় ঢুকতেই তিন দিক থেকে তাঁদের ঘিরে এলএমজি, দেশি রকেট ও গ্রেনেড হামলা চালাতে থাকে তারা।সিআরপিএফের তরফে জানানো হয়েছে, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। রোববার সকালে কুড়ি জন জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার উদ্ধার হয়েছিল দুজন জওয়ানের মৃতদেহ। হামলায় ৭০০-র বেশি মাওবাদী জড়িত ছিল বলে আন্দাজ করছে বাহিনী। ওই এলাকায় মাওবাদীদের ব্যাটেলিয়ান সামলায় সুজাতা নামের একজন মহিলা। বাহিনীর গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআরপিএফ। ছত্তিশগড়ের এই ঘটনার জেরে অসমে নির্বাচনী প্রচারের জন্য সফর কাঁটছাট করেছেন অমিত শাহ। নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিআরপিএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। শহিদ জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিখোঁজ জওয়ানদের খুঁজে বের করতে সবরকম চেষ্টা করতে হবে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরাও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chattisgarh, Maoist Attack, Naxal Attack, Naxals