#নয়াদিল্লি:
কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (ক্যাট) জানাচ্ছে, এপ্রিল মাসে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের মোট ৬.২৫ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারীর জেরে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কম করে ৭৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় লোকসান হয়েছে। এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন অংশে আংশিক লকডাউন হয়েছিল। করোনা সংক্রমনের হার বাড়তে থাকায় কোথাও আবার পূর্ণ লকডাউন হয়েছে। পরিস্থিতি গত বছরের থেকেও খারাপ। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে পুরোপুরি লকডাউন না হলেও ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এদিকে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ফলে আগামী দিনে বিপদ যে আরো বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।ক্যাট-এর মহাসচিব প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানিয়েছেন, করোনাবিধির পালন ঠিকঠাক হচ্ছে না। যার জেরে মহামারী ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। তিনি এদিন জানিয়েছেন, মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে অর্থব্যবস্থা ও ব্যবসায়ীদেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তবুও সব কিছুর আগে মানুষের জীবন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সারা দেশে পূর্ণ লকডাউনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধানের দাবি, এখনই সারা দেশে লকডাউন না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। তখন অর্থব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। ক্যাট আরও জানিয়েছে, স্রেফ এপ্রিল মাসেই সারা দেশে ছোট ব্যবসায়ীদের ৪.২৫ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
দেশের ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাইকারি ব্যবসায়ীদের ক্ষতির অংকটাও বড়ই। এপ্রিল মাসে দুলক্ষ কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে দেশের পাইকারি ব্যবসায়ীদের। ১০ দিন আগে দিল্লির একশোর বেশি ব্যবসায়ী সংগঠন ২৬ এপ্রিল ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে দাঁড়ানোর জন্য এবং চিকিৎসা ব্যবস্থায় যাতে ভেঙে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্যই ব্যবসায়ীরা এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। দিল্লিতে সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি বিচার করে কেজরিওয়ালের সরকার দিল্লিতে লকডাউনের মেয়াদও বাড়িয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Businessman, Corona Lockdown, Corona Second Wave, Economy