Sand Mafia In Kolkata: খাস কলকাতায় হুগলি নদীর বুক থেকে নিয়মিত চুরি হচ্ছে বালি!
- Published by:Suman Majumder
Last Updated:
এইভাবে নদীগর্ভ থেকে বালি তোলা হলে নদীর গতিপথের পরিবর্তন হতে পারে হঠাৎ করেই। আর গতিপথ বিঘ্নিত হলেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুপাড়। ভেঙে যেতে পারে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বহু মানুষ।
#কলকাতা: হুগলি নদী গর্ভ থেকে বালি চুরি। তাও আবার নিয়মিত। লুকিয়ে-তুরিয়ে নয়। বলতে গেলে প্রকাশ্যেই। সেই বালি নদীর পাড়ে রেখে বিক্রি হচ্ছে দেদার!
চিৎপুর থানা এলাকার ইন্দিরা ঘাটের দুপাশে চলছে এই ব্যবসা। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে একইভাবে নদীবক্ষ থেকে বালি তুলে এনে বিক্রি করছেন প্রদীপ মণ্ডল, বিশ্বনাথ, বিকাশ চৌবেরা। ওদের কাছে কি নদী থেকে বালি তোলার সরকারি কোনো অনুমতি আছে? জিজ্ঞেস করতে ওরা জানায়, পোর্টের রিভার ট্রাফিকের টোল কাটে, নদীর পাড়ে বালি রাখার জন্য পোর্টকে জায়গার ভাড়া দেয় গোলাদাররা। জায়গার ভাড়া কিংবা টোলের কাগজ দেখতে চাইলে ওরা কোনভাবেই দেখাতে চায়নি।
advertisement
বন্দর সূত্রে খবর,নদী থেকে বালি তোলার কোনও অনুমতি বন্দর কর্তৃপক্ষ দেয়নি। এই ব্য়াপারটি পুরোপুরি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে। তাই ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএলআরও এই অনুমতি দেয়। এই বিষয়টি পোর্টের নয় বলে দাবি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- মনপসন্দ খাবার এ বারে নিলামে ঘরে বসেই
প্রদীপ মণ্ডল কিংবা বিকাশ চৌবেরা ডিএম বা বিএলআরও চালান কাটে না।অর্থাৎ বালি তোলাটা অবৈধ এবং রয়েলিটি না দেওয়া সেটাও অবৈধ। ফলে সরকারের রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকার। এখন প্রশ্ন, এত বছর ধরে এখানে এইভাবে কারবার চলছে, প্রশাসন সত্যিই কি কিছু জানে না?
advertisement
রাস্তা দিয়ে যখন সাদা বালি যাচ্ছে, তখন ট্রাফিক পুলিশ থেকে থানা, কোনওদিন তার কাগজপত্র পরীক্ষা করে না? বালি দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকার যেখানে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে. সেখানে কীভাবে এই ধরনের ব্যবসা চলছে খোদ কলকাতার বুকে?
প্রদীপ মণ্ডল আমাদের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। বরং বলেছিলেন, খবর হলে সমস্যা হবে। কারণ এর সঙ্গে কিছু মানুষের জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে। সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
advertisement
একটি বাঁশের মাথায় কুড়ি লিটার আয়তনের একটি বালতি বাঁধে হয়। সেটি হ্যান্ডেলে দড়ি দিয়ে বাঁধা থাকে। বালতিটি বাঁশের মাথায় রেখে জলে ডোবানো পর দড়ি ধরে টানলেই বালতিতে বালি উঠে আসে এবং সেই বালি উপরে এনে নৌকায় জড়ো করা হয়। এইভাবে প্রতিদিন এক একটি নৌকো ৭০০থেকে ৮০০ ঘনফুট বালি নিয়ে আসে। এই বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ নৌকার লাইসেন্সের সময় কুইন্টাল প্রতি ২৯.২৬ টাকা হিসাবে টোল নেয়। তবে বালিচোরদের লাগাম টানবে কে?
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
October 24, 2021 3:27 AM IST