লখনউ: দুষ্কৃতীদের গুলিতে কিছুদিন আগেই নিহত হন উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ। আতিক এবং তাঁর ভাইয়ের মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আতিকের মাফিয়ারাজ নিয়ে অনেকে সরব হয়েছেন। সাড়ে তিন দশক পর যেমন সেই আতঙ্কের কথা শোনালেন প্রয়াগরাজের ঝালওয়া এলাকার বাসিন্দা রামকলি কুশওয়াহা।
উত্তরপ্রদেশে প্রয়াগরাজ এলাকায় আতিকের নানা কুকীর্তির কথা শোনা যায়। হুমকি, হামলা চালানোয় আতঙ্কের আবহ তৈরি করেছিলেন এই গ্যাংস্টার। আর সেই ভয়াবহ দিনগুলির ব্যাপারে রামকলি জানান, তাঁর ১২ বিঘা জমি বাঁচানোর জন্য তাঁকে কী কী হারাতে হয়েছে। এখনও সে কথা ভোলেননি পঞ্চাশোর্ধ্ব এই মহিলা।
পারিবারিক সূত্রে পাওয়া ১২ বিঘা জমির একটা এংশে ছোট বাড়ি তৈরি করে থাকতেন রামকলিরা। তাঁর বক্তব্য, “জমিটি দেওয়ার জন্য আতিকের লোকজন প্রথমে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু কাজ না হওয়ায় হুমকি দেওয়া শুরু হয়। আতিকের লোকেরা বাড়ির আসপাশে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরত। কিন্তু আমরা কোনওভাবে হাল ছাড়িনি।” ১৯৮৯ সালে রামকলির স্বামী ব্রিজমোহন কুশওয়াহা কাজে বেরিয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান।
আতিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন রামকলি। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। রামকলি জানিয়েছেন, বিধায়ক হয়ে ডেকে পাঠান আতিক। বলেন আমার স্বামী আর বেঁচে নেই। এটাও বলেন যে, জমিটা দিয়ে দিলে উনি আমার পরিবারকে দেখবেন। তবু শেষ সম্বল ওই জমিটা দিতে চাইনি। রামকলির বয়ান অনুযায়ী, ঝালওয়ার ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন ওই জায়গাটি পেতে সব রকম চেষ্টা চালিয়েছেন আতিক। বছর সাতেক আগে, ২০১৬ সালেও তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়়া হয়। আর সেই হামলায় জখম হন রামকলির ছেলে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Land mafia, Torture, Uttar Pradesh