#গুয়াহাটি: ৪ বছর ধরে ডিটেনশন ক্যাম্পে কাটিয়ে সদ্য ছাড়া পেয়েছেন অসমের হেইলাকান্দির বাসিন্দা সুখদেব রিই৷ কপর্দক শূন্য৷ শুকদেবের কথায়, 'সরকার আমার সব কিছু ছিনিয়ে নিয়েছে৷' দক্ষিণ অসমের হেইলাকান্দির চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন৷ তাঁর অভিযোগ, সব প্রয়োজনীয় নথি ছিল৷ ১৯৬৬ সালের ভোটার তালিকাতেও নাম ছিল৷ তারপরেও তাঁকে বিদেশি আখ্যা দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়৷ বাকিটা নির্মম৷ অসমিয়া ভাষায় বললেন , 'সরকার হাম সে সব ছিনে লিলো৷' কান্নায় ভেঙে পড়লেন৷
৪ বছর পর স্বামীকে দেখলেন শিশুবালা রিই৷ একমাত্র ছেলে ষষ্ঠশ্রেণিতে পড়ে৷ বিদেশি নাগরিক তকমায় সুখদেবকে ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেয় প্রশাসন৷ এরপর স্বামীকে ছাড়াতে লড়াই শুরু করেন শিশুবালা৷ নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য মামলায় প্রচুর খরচ৷
এই ৪ বছরে সব সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন শিশুবালা৷ মামলার খরচ চালাতে চাল বাড়ন্ত৷ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ১ লক্ষ জোগাড় করে দিয়েছে৷ বাকিটা স্থানীয় বাসিন্দারা৷
২০১৬-র ২৪ জুনের ঘটনা৷ সুখদেব রিই-কে অবৈধ নাগরিক হিসেবে আটক করা হয়৷ শিলচর সেন্ট্রাল জেলের ডিটেনশন ক্যাম্পে তাঁকে রাখা হয়৷ ১ লক্ষ টাকার বন্ডে সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন সুখদেব৷ অসমের ৬টি ডিটেনশন ক্যাম্পে মোট ৮৩৪ জনকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে আটক করা হয়েছে৷ এর মধ্যে ৫৫৯ জন মুসলিম ও ২৭৫ জন হিন্দু৷
প্রায় ৪ বছর পর পরিবারকে দেখলেন সুখদেব৷ উদাসীন দৃষ্টিতে বললেন, 'সরকার আমাদের থেকে সব কেড়ে নিল৷'
অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পে এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ রাজ্যসভায় সরকার জানিয়েছে, এই মৃ্ত্যুগুলি স্বাভাবিক৷ ভয়ে নয়৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।