#নয়াদিল্লি: ১ জানুয়ারি থেকে বাধ্যতামূলক FASTag। গোটা দেশের মতো, এই রাজ্যে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজাতে চালু হচ্ছে এই বিশেষ পদ্ধতি। ধাপে ধাপে টোল আদায়ের সমস্ত পরিষেবা ক্যাশলেস করতে চায়, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রক। এর আগে ফাস্ট্যাগ পদ্ধতি চালু হলেও, তা সকলে ব্যবহার করতেন না। দেশের ৮০% টোল প্লাজাতেই ফাস্ট্যাগের সুবিধা রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যা ১০০ শতাংশ করার চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্র সরকার। যা ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন লেন হিসেবে থাকবে।
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বরের আগে কেনা সমস্ত পুরনো গাড়িতেই ফাসট্যাগ বাধ্যতামূলক করার একটি খসড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং জাতীয় সড়কমন্ত্রক। একই সঙ্গে তৃতীয়পক্ষের গাড়ি বিমার ক্ষেত্রেও ফাসট্যাগ বাধ্যতামূলক করার কথা জানানো হয়েছিল ওই খসড়া বিজ্ঞপ্তিতে। শনিবার সেই মর্মেই বাধ্যবাধকতা মেনে চলার নির্দেশিকা জারি করেছে মন্ত্রক।
কি এই ফাস্ট্যাগ? এটা এক ধরনের ডিজিটাল ট্যাগ বা স্টিকার। যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইন্ডেটিফিকেশন পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। গাড়ির সামনের কাঁচের ওপরে থাকবে এই বিশেষ স্টিকার। টোল আদায় কেন্দ্রগুলিতে থাকবে বিশেষ লেন। সেখান দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের সময়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে টোল আদায় হয়ে যাবে। সময় নষ্ট করে আর টোল প্লাজায় দাঁড়াতে হবেনা। ফলে যাত্রা পথে অনেকটা সময় কমবে বলে জানাচ্ছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
কী ভাবে কাজ করবে? রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) প্রযুক্তিতে কাজ করবে ফাস্ট্যাগ। টোল প্লাজার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সেই ট্যাগ স্ক্যান হতেই পাসিং গেট খুলে যাবে।
কীভাবে আর কোথায় পাবেন ফাস্ট্যাগ? বিভিন্ন টোল প্লাজায় ক্যাম্প করা হচ্ছে, এছাড়া ২৩টি ব্যাংক থেকে এই ডিজিটাল স্টিকার পাওয়া যাবে। ফাস্ট্যাগ ব্যবহারকারীদের জন্য থাকছে মাই ফাস্ট্যাগ বলে একটি মোবাইল আপ। সেখান থেকেও রিচারজ করে নেওয়া যাবে। মাত্র ১০০ টাকা দিলেই মিলবে এই ব্যবস্থা। এছাড়া সিকিউরিটি ডিপোজিট বাবদ দিতে হবে ২০০ টাকা। এরপর ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো রিচারজ করিয়ে নিতে পারবেন। ব্যাংকের সাথে লিংক করিয়ে নিলে সেখান থেকেই ফাস্ট্যাগ রিচারজ হতে থাকবে।
জাতীয় সড়ক সংস্থা অনুযায়ী, আপনি যে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে ২০০ টাকায় ফাস্টগ কিনতে পারবেন। সেই সঙ্গে, আপনি কমপক্ষে ১০০ টাকা দিয়ে ফাস্টগেকে রিচার্জ করতে পারেন। সরকার ব্যাঙ্ক ও পেমেন্ট ওয়ালেটগুলিকে তারদের পক্ষ থেকে কিছু অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার জন্য ছাড় দিয়েছে। ছাড়াও ফাস্টাগ যে কোনও ই-কমার্স ওয়েবসাইট অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল এবং পেইটিএম-এও উপলব্ধ রয়েছে।
কী কী লাগবে ফাস্ট্যাগ কেনার জন্য ? ফাস্ট্যাগ কেনার জন্য আপনার দরকার পড়বে ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি ফটো কপি এবং আপনার গাড়ির সার্টিফিকেট, মালিকের পাসপোর্ট সাইজ ছবি। সেই সঙ্গে আপনি ফটো আইডি হিসাবে আধার কার্ড এবং পাসপোর্ট বা প্যান কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: FASTag, National highway, Toll PLaza