#চণ্ডীগড়: নিয়মমতো পিরিয়ড শুরু হয়েছিল। তবে একটি অদ্ভুত ঘটনায় অত্যন্ত আতঙ্কিত চণ্ডীগড়ের যুবতী। ঋতুস্রাবের সময়ে চোখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করেছে তাঁর। আর এই ঘটনার পর থেকেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঠিক কী ঘটেছে যুবতীর সঙ্গে? আসুন জেনে নেওয়া যাক!
ঋতুস্রাবের সময়ে আচমকা চোখ থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে। এই রকম অদ্ভুত ঘটনায় রীতিমতো ঘাবড়ে যান ওই যুবতী। তড়িঘড়ি নিকটবর্তী হাসপাতালে পৌঁছান। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান, মাসখানেক আগেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেবারও চোখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। তবে কোনও শারীরিক কষ্ট অনুভব করেননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা যুবতীর বেশ কয়েকটি অপথ্যালমোলজিকাল অর্থাৎ চক্ষুরোগ সংক্রান্ত ও রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা করেন। কিন্তু সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্টই নরম্যাল আসে। চোখ ছাড়া শরীরের অন্য কোনও অংশ থেকেও রক্ত বেরোনোর সন্ধান পাননি চিকিৎসকরা। একাধিক রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানা যায়, এর আগে যুবতীর কোনও অকুলার ব্লিডিং (Ocular Bleeding) বা চোখের সমস্যাও ছিল না। তাহলে ঠিক কী হয়েছিল?
এই বিষয়ে চিকিৎসকদের বক্তব্য, শুধুমাত্র ঋতুচক্র চলাকালীন যুবতীর সঙ্গে এই সমস্যা দেখা গিয়েছে। এই অদ্ভুত ধরনের রোগকে বলা হয় অকুলার ভিকারিয়াস মেনস্ট্রুয়েশন (Ocular Vicarious Menstruation)। এক্ষেত্রে ঋতুচক্রের সময়ে শরীরের কোনও বাইরের অঙ্গ থেকে সাইক্লিকাল ব্লিডিং শুরু হয়। সাধারণত নাক দিয়ে রক্ত বেরোয়। তবে ঠোঁট, চোখ, ফুসফুস এমনকি পাকস্থলী থেকেও রক্ত বেরোতে পারে। সম্প্রতি, British Medical Journal-এ এই ঘটনাটি নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের কথায়, ঋতুচক্রের সময়ে হরমোনের পরিবর্তনের জেরে এই রকম ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কোনও বিস্তারিত গবেষণা করা হয়নি। এই অদ্ভুত সমস্যার সঠিক কারণ ও তার যথাযথ সমাধানে একাধিক সমীক্ষা ও গবেষণা চলছে। যার ফলাফল এখনও অপ্রকাশিত।
উল্লেখ্য, চিকিৎসরা যুবতী তিন মাসের জন্য ওরাল কনট্রাসেপটিভস দিয়েছিলেন। এই ওরাল কনট্রাসেপটিভস মূলত ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ওষুধ খাওয়ার পর ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে এগিয়েছেন তিনি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chandigarh, Menstrual Cycle