মৃত্যুর পরে কবর নয়, এ বার থেকে সৎকার হবে ক্যাথলিকদের দেহ! তৈরি হল খ্রিষ্টানদের শ্মশান
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
মৃত্যুর পরে প্রিয়জনের দেহ আর কবরস্থ করা হবে না, বরং তাঁর সেই দেহ সৎকার করা হবে শ্মশানে। রাজ্যের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সম্মতিক্রমে কেরলের ত্রিশূরের তৈরি হল দেশের প্রথম খ্রিষ্টানদের শ্মশান।
#ত্রিশূর: মৃত্যুর পরে প্রিয়জনের দেহ আর কবরস্থ করা হবে না, বরং তাঁর সেই দেহ সৎকার করা হবে শ্মশানে। রাজ্যের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সম্মতিক্রমে কেরলের ত্রিশূরের তৈরি হল দেশের প্রথম খ্রিষ্টানদের শ্মশান। সেখানে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে গ্যাসের চুল্লি। ত্রিশূরের ক্যাথলিক চার্চ এই শ্মশানের রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
করোনা নতুন করে মানুষকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, সে বিষয় সন্দেহাতীত। তার মধ্যে কিছু বিষয় সাময়িক হলে, এমন অনেক কিছু রয়েছে যেগুলি ভবিষ্যতেও থেকে যাবে। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে এই শ্মশানের বিষয়টিও সেরকমই রয়ে গেল সকলের সম্মতিক্রমে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী, দেশের যে রাজ্যগুলি ভয়ঙ্করভাবে করোনা সংক্রামিত, তাদের মধ্যে অন্যতম কেরল। শেষ সপ্তাহের দক্ষিণের এই ছবির মতো সাজানো রাজ্য করোনা আক্রান্তের স্থানে ছিল দ্বিতীয় স্থানে। তার মধ্যে সেখানকার বাসিন্দাদের সিংভাগই খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। ফলে সংক্রমণের আঁচ থেকে বাঁচতে এই সিধান্ত যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা বলারঅপেক্ষা রাখে না।
advertisement
এ প্রসঙ্গে Archdiocese pastoral council secretary মেরি রেজিনা মঙ্গলবার বলেন, "কেরলের ক্যাথলিক চার্চের সকল সদস্যদের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।" প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, ক্যাথলিকরা তাঁদের প্রিয়জনেরা বা পরিজনেরা মারা গেলে বাড়ির সবচেয়ে কাছের কবরস্থানে দেহ কবরস্থ করেন। এ ভাবে ধীরে ধীরে সেই জায়গা পূর্ণ হয়ে গেলে, অন্য জায়গায় কবরস্থ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু কেরলের ক্ষেত্রে ক্রমেই জায়গার অভাব হচ্ছিল। কমিউনিটির সদস্যসংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় কবরস্থানে জায়গার অভাব হচ্ছিল।
advertisement
advertisement
তবে ক্যাথলিকদের মধ্যে সৎকারের নিয়ম নেই তা কিন্তু নয়। ক্যাথলিক আইন অনুযায়ী, ১৯৬৩ সালে ভ্যাটিক্যান সৎকার প্রথার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে সৎকার বৈধ। তবে পুরোটাই নির্ভর করে চার্চের বিশপদের ওপর। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, কেরলে এর আগে দু'জনের দেহ সৎকার করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে অগাস্ট মাসে এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং ২০০৭ সালে কোচির এক ব্যবসায়ীর দেহ সৎকার করা হয়েছিল।
Location :
First Published :
February 10, 2021 3:11 PM IST