#লখনউ: ২৮ বছর পর রায়দান হল বাবরি মসজিদ কাণ্ডের। বুধবার অবসরের প্রাকমুহূর্তে লখনউয়ের বিশেষ আদালতে রায় পড়লেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। সমস্ত অভিযুক্তকেই খালাস করল আদালত। বিচারকের যুক্তি এই ধ্বংসলীলা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। তথ্যপ্রমাণও যথেষ্ট নয় বলে জানায় আদালত। ফলে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হল সমস্ত অভিযুক্তকেই।
বাবরি ধ্বংসে রায় প্রায় ২০০০ পাতার। ২ সেপ্টেম্বর শুরু হয় রায় লেখার কাজ। বুধবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ সেই রায় পড়তে শুরু করেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। তিনি বলেন, এই হিংসা পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও নেই। এছাড়া সিবিআই যে অডিও ও ভিডিও ক্লিপ প্রমাণ হিসেবে দিয়েছে, সেগুলিও যথেষ্ট নয়। যে স্পিচ নিয়ে বিরোধাভাস, তা স্পষ্ট নয়। কিছু অসামাজিক ব্যক্তি এই ঘটনায় লিপ্ত হয়েছিল। অভিযুক্তরা তাদের বাধা দেওয়ারই চেষ্টা করেন।
এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদই আদালত পৌঁছে গিয়েছিলেন বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব। একে একে পৌঁছন সাধ্বী ঋতম্ভরা, সাক্ষী মহারাজরা। মোট ২৬ জন অভিযুক্ত যোগ দেন এজলাসে। তবে বয়সজনিত কারণে আসতে পারেননি লালকৃষ্ণ আডবানী ও মুরলিমনোহর জোশি। তাঁরা যোগ দেন ভিডিও কনফারেন্সে। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে আসতে পারেননি উমা ভারতী। আসেননি মোহান্ত নৃত্যগোপাল দাসও। অভিযুক্ত, সিবিআই-এর আইনজীবী এবং তাঁদের আইনজীবী ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার ছিল না আদালত চত্বরে।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের ঘটনা। উন্মত্ত হিংসা দেখেছিল গোটা দেশ। রামভক্তদের হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন বাবরি মসজিদ। শুরু হয় গোষ্ঠী হিংসা। নিহত হন ১,৮০০ জন। ২৮ বছর পর বুধবার মসজিদ ধ্বংসের মামলার রায় ঘোষণা করল লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। ওই মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৭ জন মারা গিয়েছেন।
ইতিমধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে অযোধ্যা জমি মামলার। গত ৯ নভেম্বর পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে। যদিও বাবরি মসজিদ ভাঙার নিন্দাও করেছিল সর্বোচ্চ আদালত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।