দেশে ফিরেও ‘অগ্নিপরীক্ষা’-র সামনাসামনি অভিনন্দন, এখনই বাড়ি নয়, চলবে ডাক্তারি পরীক্ষা
Last Updated:
#নয়াদিল্লি: দেশে ফিরলেও যুদ্ধবিমানের ককপিট থেকে আপাতত অনেক দূরে অভিনন্দন বর্তমান। এখন বাড়িও ফিরতে পারবেন না তিনি। দিল্লিতে এয়ার ফোর্সের অফিসার্স মেসে থাকতে হবে উইং কমান্ডারকে। দিল্লির সামরিক হাসপাতালে দফায় দফায় চলবে মেডিক্যাল চেকআপ। শত্রুশিবির থেকে মুক্তি পেয়ে দেশের গোয়েন্দাদের সামনেও বসতে হবে অভিনন্দনকে।
মাঝ আকাশের ‘ডগ ফাইটে’ ধ্বংস করেছেন এফ সিক্সটিন। শত্রুর ঘরে বসে দিয়েছেন দৃঢ় মানসিকতার পরিচয়। যুদ্ধবন্দি হয়েও মাত্র আড়াই দিনের মধ্যে ফিরে এসেছেন। এই ষাট ঘণ্টার লড়াই যতটা কঠিন ছিল, পরের পথটি তার থেকে কোনও অংশে কম কঠিন নয় অভিনন্দন বর্তমানের কাছে। তাঁর বীরত্ব-সাহসিকতা নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন নেই। তবে যুদ্ধবিমানের ককপিটে ফিরতে হলে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে বায়ুসেনার উইং কমান্ডারকে।
advertisement
নিয়ম অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন দফায় দফায় মেডিক্যাল চেকআপ চলবে অভিনন্দনের। শত্রু শিবিরে থাকলে অনেক সময়ই বন্দির শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ইলেকট্রনিক মাইক্রোচিপ। অভিনন্দনের শরীরে সেরকম কোনও চিপ রয়েছে কিনা, তা জানতে স্ক্যান-এমআরআই করা হবে। সামরিক ভাষায় এই পদ্ধতিকে বলা হয় 'ডিবাগিং'। শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি মনোবিদের কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে অভিনন্দনকে।
advertisement
advertisement
- দফায় দফায় অভিনন্দনের মেডিক্যাল চেকআপ
- শত্রু শিবিরে থাকলে অনেক সময়ই বন্দির শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় ইলেকট্রনিক মাইক্রোচিপ
- স্ক্যান-এমআরআই করে দেখা হবে অভিনন্দনের শরীরে সেরকম কোনও চিপ রয়েছে কিনা
- এই পদ্ধতিকে বলা হয় 'ডিবাগিং'
- শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি মনোবিদও কথা বলবেন অভিনন্দনের সঙ্গে
শনিবারই দিল্লির আরআর সামরিক হাসপাতালে একদফা মেডিক্যাল চেকআপ হয় অভিনন্দনের। আগামী কয়েকদিন আরও কয়েকবার চলবে ডাক্তারি পরীক্ষা। এখানেই অবশ্য শেষ হচ্ছে না ফাইটার পাইলটের অগ্নিপরীক্ষা।
advertisement
মিগ টোয়েন্টি ওয়ান ভেঙে পড়ার পর, প্রায় ষাট ঘণ্টা শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি ছিলেন অভিনন্দন। তাঁকে ব্যবহার করার কোনও চক্রান্ত হয়েছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা করবেন গোয়েন্দারা। সামরিক ভাষায় এই পদ্ধতিকে বলা হয় 'ডিব্রিফিং'। মিগ ভেঙে পড়ার পর থেকে আটারি সীমান্ত পার করা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটেছিল, বিশদে তার বর্ণনা দিতে হবে অভিনন্দনকে। তাঁর সঙ্গে থাকা কোন কোন নথি তিনি নষ্ট করতে পেরেছিলেন এবং কী কী নথি পাক সেনার হাতে পৌঁছেছে তারও তালিকা তৈরি করবেন গোয়েন্দারা।
advertisement
অভিনন্দনের ‘ডিব্রিফিং’
- প্রায় ষাট ঘণ্টা শত্রুপক্ষের হাতে বন্দি ছিলেন অভিনন্দন
- তাঁকে ব্যবহার করার কোনও চক্রান্ত হয়েছিল কি?
- জানার চেষ্টা করবেন গোয়েন্দারা
- সামরিক ভাষায় এই পদ্ধতিকে বলা হয় 'ডিব্রিফিং'
- মিগ ভেঙে পড়ার পর থেকে আটারি সীমান্ত পার করা পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটেছিল?
- বিশদে তার বর্ণনা দিতে হবে অভিনন্দনকে
advertisement
- সঙ্গে থাকা কোন কোন নথি তিনি নষ্ট করতে পেরেছিলেন?
- কী কী নথি পাক সেনার হাতে পৌঁছেছে?
- তারও তালিকা তৈরি করবেন গোয়েন্দারা
শনিবারই অভিনন্দনের সঙ্গে কথা বলেন বায়ুসেনা প্রধান বি এস ধানোয়া। বন্দি অবস্থা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয় দু’জনের। দেশে ফিরলেও এখনই বাড়ি ফেরা হচ্ছে না অভিনন্দনের। আপাতত কয়েকদিন দিল্লিতে এয়ার ফোর্সের অফিসার্স মেসে থাকতে হবে তাঁকে। দিল্লিতে থেকেই দফায় দফায় চলবে ডি-ব্রিফিং প্রক্রিয়া। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, যুদ্ধবিমানের ককপিটে ফিরতে ফিরতে তিন থেকে ছ’মাস লেগে যেতে পারে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
March 02, 2019 9:07 PM IST