Nadia News: রনা ডাকাত না থাকলে রানাঘাট হত না! করা হত না এই কালী পুজোও! জানলে অবাক হবেন
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Nadia News: রনা ডাকাতের নাম থেকেই 'রানাঘাট' নাম আসে! এই রনা ডাকাতই শুরু করেছিলেন জাগ্রত মায়ের পুজো! মনোস্কামনা নিয়ে আজও হাজারো মানুষের ভিড় এই পুজোয়। জানলে অবাক হবেন
#রানাঘাট: সোমবার পালিত হল দেশের সবথেকে বড় উৎসব দীপাবলি। গোটা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পালন করা হয় কালীপুজো। দীপাবলি আলোর উৎসব হলেও এই দিনেই বাংলার ঘরে ঘরে অথবা পাড়ায় পাড়ায় পালন করা হয়ে থাকে শক্তির আরাধনা। নদিয়া জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় মহাসমারোহে পালন করা হয় কালীপুজো। যেমন নদিয়ার ধুবুলিয়া, আড়ংঘাটা, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় কালীপুজো বিখ্যাত। ঠিক তেমনই কালীপুজোর রাতে সাড়ম্বরের সাথে পালন করা হল মা সিদ্ধেশ্বরীর পুজো।
সোমবারই সন্ধ্যা থেকেই সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে শ্রদ্ধালুদের ভিড় জমে। সমস্ত আচার অনুষ্ঠান মেনে শুরু হয় সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পুজো। প্রচলিত আছে এই পুজোর তৎকালীন সময়ে শুরু করেছিলেন রনা ডাকাত। সিদ্ধেশ্বরী কালী পুজো ৪৫০ বছরের প্রাচীন। কথিত আছে সিদ্ধেশ্বরী মা খুবই জাগ্রত। প্রতিদিন নিত্য পুজো হলেও কালীপুজো উপলক্ষে হয় সিদ্ধেশ্বরী মায়ের বিশেষ পুজো। ভক্তবৃন্দরা আসেন বহু দূর-দূরান্ত থেকে।
advertisement
বর্তমান পুজো উদ্যোক্তাদের থেকে জানা যায় এই পুজোর বেশ কিছু নিয়ম কানুন। মায়ের পুজোয় মরশুমের সমস্ত নতুন নতুন ফল দিতে হয়। এছাড়াও মাকে পাঁচ রকমের ভাজা, তিন রকমের অন্ন যেমন সাদা ভাত, পোলাও, খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয়, সাথে থাকে পাঁচ রকমের তরকারি। মাকে পঞ্চমুন্ডির আসনে বসিয়ে করা হয় পুজো। বহুবছর ধরেই এই রীতি চলে আসছে।
advertisement
advertisement
ইতিহাস থেকে জানা যায়, অতীতে রানাঘাটের নাম ছিল "ব্রহ্মডাঙ্গা"। এই জায়গায় রনা ডাকাতের রাজত্ব ছিল সেই সময়ে। রনা ডাকাতই প্রথম প্রচলন করেন সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পুজো। রনা ডাকাত ছিল গরীবের বন্ধু। সেই রনা ডাকাতের নাম থেকেই ব্রহ্মডাঙ্গার নাম হয় "রানাঘাট"। রনা ডাকাত চলে যাওয়ার পরেও আজও অতীতের মতোই ভক্তি সহকারে পুজো করা হয় মা সিদ্ধেশ্বরীর।
advertisement
Mainak Debnath
Location :
First Published :
October 25, 2022 6:18 PM IST