ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাইলট হলেন চা বিক্রেতার মেয়ে
Last Updated:
#নিমাচ: ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানচালক হলেন এক চা-বিক্রেতার মেয়ে ৷ কথাগুলো লেখাটা বড্ড সহজ ৷ তবে এই কথাগুলো লেখার জন্য সেই মেয়ের অধ্যাবসায় কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না ৷ আর সেই অসাধ্য সাধন ঘটিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নিমাচের ২৪ বছরের আঁচল গঙ্গওয়াল ৷
ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানের পাইলট হিসেবে সারা দেশ থেকে ২২ জন নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের অন্যতম আঁচল। তাঁর বাবা চা বিক্রি করেন। কিন্তু আঁচলের পড়াশোনায় কোনো কমতি রাখেননি। আঁচল ছোটবেলা থেকেই স্কুলের টপার। শুধু পড়শোনাতেই নয়, স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্কেটবল এবং ৪০০ মিটার দৌড়েও সফল তিনি।
২০১৩ সালের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বন্যায় প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। নিখোঁজ হয়েছিলেন অনেক পুণ্যার্থী। সেই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল আঁচলকে। তখন সে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। যে ভাবে দেশের সেনা জওয়ানরা উদ্ধারকাজ চালিয়েছিলেন, সেটাই আঁচলের জীবনের প্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার দৃঢ়সঙ্কল্প শুরু তখন থেকেই।
advertisement
advertisement
A tea seller's daughter is selected in the flying branch of the Indian Air Force
Read @ANI story | https://t.co/0bMptLgZ35 pic.twitter.com/bpvPchBn4U — ANI Digital (@ani_digital) June 24, 2018
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়। তারপর চাকরির জন্য প্রস্তুতি। এসবের মধ্যেও কিন্তু হারিয়ে যায়নি তাঁর স্বপ্ন। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টরের চাকরিও পেয়ে যান। কিন্তু উপলব্ধি করেছিলেন ওই চাকরির যে টাইট সিডিউল, তাতে নিজের স্বপ্ন সফল করা কঠিন। ছেড়ে দেন চাকরিটা। ঘটনাচক্রে লেবার ইন্সপেক্টরের চাকরিটাও হয়ে যায় তাঁর। সেই চাকরি করতে করতেই বিমানবাহিনীর পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু।
advertisement
এয়ারফোর্স কমন অ্যাডমিশন টেস্ট-এ পাস করেন আঁচল। তিনি জানান, পরীক্ষাটা মোটেই সহজ ছিল না। পাঁচবার ইন্টারভিউ দিয়েও সাফল্য আসেনি। তবু হাল ছাড়েননি। ছ’বারে তিনি সফল হন। তিনি এখন ভারতীয় বায়ুসেনার এক জন পাইলট। আগামী ৩০ জুন থেকে হায়দরাবাদে প্রশিক্ষণ শুরু হবে তাঁর। সেই সঙ্গে শুরু হবে তাঁর স্বপ্নের উড়ান।
আঁচলের বাবা সুরেশ গঙ্গওয়াল নিমাচ বাসস্ট্যান্ডের সামনে চায়ের দোকান চালান। তাঁর দুই মেয়ে, এক ছেলে। আঁচল মেজো। সুরেশ বলেন, ‘আর্থিক অনটনের মধ্যেও সন্তানদের পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। ঋণ নিয়ে আঁচলকে কোচিংয়ের জন্য ইনদওরে পাঠিয়েছি। বড় ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছি।’
Location :
First Published :
June 24, 2018 5:27 PM IST