'দুয়ারে বিধায়ক’ পরিষেবা চালু ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর

Last Updated:

মানুষকে পরিষেবা দিতে 'দুয়ারে বিধায়ক’ পরিষেবা চালু করলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী 

রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যে তিনি একমাত্র আই এস এফ (ISF) এর বিধায়ক। বিধায়ক হয়েও দীর্ঘদিন তিনি নিজের বিধানসভা এলাকায় থাকতে পারেননি ঘর ভাড়া না পাওয়ার কারণে। তবে অবশেষে মিলেছে ঘর। এখন নিজের বিধানসভা এলাকাতেই থাকছেন আই এস এফ (Indian Secular Front) এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui )। দীর্ঘদিন ভাঙড় এলাকার মানুষ নানা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থেকেছেন। তাই এবার দুয়ারে সরকারের মতই ভাঙড়ে 'দুয়ারে বিধায়ক' (Duare Bidhayak) পরিষেবা চালু করলেন এলাকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqui)।
ভাঙড় (Bhangar) দু নম্বর ব্লকের কাশীপুর থানার ভগবানপুর অঞ্চলে দুটি ক্যাম্প করেন নওশাদ। সেখানেই কোভিড বিধি মেনে টেবিল চেয়ার নিয়ে বসেন স্বয়ং বিধায়ক। দীর্ঘক্ষণ মানুষের অভাব অভিযোগ শোনেন তিনি।পাশাপাশি ওই স্থান থেকেই স্থায়ী বাসিন্দা, আয়ের শংসাপত্র প্রদান করেন নওশাদ। এছাড়া তপশিলী জাতি, উপজাতি বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর আবেদন পত্রে সিল ও স্বাক্ষরও করে দেন এলাকার বিধায়ক। যদিও বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শাসকদলের নেতারা। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করে মানুষের কোন অভাব-অভিযোগ রাখেনি। শিবারত্রির সলতের মত ওই একজন বিধায়কের কতটুকু করার ক্ষমতা আছে? পরিষেবার নামে সাধারণ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলছেন, ভাঁওতাবাজি করছেন নওশাদ সাহেব।'
advertisement
নির্বাচনের ফল ঘোষনার পর শাসকদলের বাধায় ভাঙড়ে তিন মাস পা রাখতে পারেননি নওশাদ। জুলাই থেকে তিনি কাশীপুর থানার মাঝেরহাট গ্রামে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকা শুরু করেন। সপ্তাহে একদিন এসে সেখানে বসে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতেন। যদিও এ ভাবে গোটা বিধানসভা এলাকার বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছান সম্ভব হচ্ছিল না বলেই তিনি জানান। ফলে, গ্রামে গ্রামে ক্যাম্প করে ‘মিট ইওর এমএলএ’(Meet your MLA) বা ‘এম এল এ ফর পিউপিল’ (MLA for people) শুরু করেন। এদিন বাগান আইট ও নাটাপুকুর গ্রামে ‘দুয়ারে বিধায়ক’ ক্যাম্পের আয়োজন করলে সেখানে ভিড় করেন কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ।
advertisement
advertisement
এই ক্যাম্পে সাধারণ মানুষ শংসাপত্রের পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার ঘর, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার জন্যও বিধায়কের কাছে আবেদন করেন। নওশাদ সিদ্দিকী জানান, ‘ভাঙড়ের বাসিন্দাদের প্রচুর সমস্যা আছে। প্রধানের একটা সার্টিফিকেট নিতে গেলেও পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে পঞ্চাশ টাকা গুঁজে দিতে হয়। অনেকে গরিব মানুষকে ঘর দেবেন বলে দুশো টাকা নিয়ে, ঘরের ছবি তুলে দিয়ে গেছেন দু বছর আগে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আবাস যোজনায় তাঁর নাম ওঠেনি।  আমি আমার সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়াব। যে যা অভিযোগ করছেন বা সমস্যার জন্য আসছেন তা সবই নোট করে নিচ্ছি। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব।'
advertisement
বিধায়কের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
'দুয়ারে বিধায়ক’ পরিষেবা চালু ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement