খবরের কাগজের দুর্গা বানিয়ে তাক লাগালো অশোকনগরের ১১ বছরের তমোঘ্ন

Last Updated:

অশোকনগরের ১১ বছরের তমোঘ্ন চ্যাটার্জী খবরের কাগজ দিয়ে বানিয়েছে দুর্গা প্রতিমা(Durga Idol)।

খবরের কাগজ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করল ১১ বছরের তমোঘ্ন চ্যাটার্জী।
খবরের কাগজ দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করল ১১ বছরের তমোঘ্ন চ্যাটার্জী।
#উত্তর ২৪ পরগনা : করোনার(Corona Virus) দাপটে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাড়িতেই অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে চলছে পড়াশোনা। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে উঠছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
যখন দেখা যাচ্ছে ছেলে মেয়েদের বাবা-মা যেখানে মোবাইলের থেকে বাচ্চাদের দূরে সরিয়ে রাখছে ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মোবাইলের মাধ্যমে তৈরি করল তমোঘ্ন খবরের কাগজের দুর্গা(Durga Puja 2021)। মোবাইলকে শিক্ষক হিসাবে বেছে নিয়ে আজকের প্রজন্মের অভাবনীয় উদ্যোগে তৈরি করা হল খবরের কাগজের দুর্গা প্রতিমা।
অশোকনগরের ১১ বছরের তমোঘ্ন চ্যাটার্জী খবরের কাগজ দিয়ে বানিয়েছে দুর্গা প্রতিমা(Durga Idol)। টিভি এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দেখে একচালার উপর তৈরি করেছে কাগজের দুর্গা প্রতিমা। আজ মহালয়া। হাতেগোনা আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো(Durga Puja)।
advertisement
advertisement
এই ছোট্ট শিশুর প্রতিভায় মুগ্ধ এলাকার বাসিন্দারা। তবে তমোঘ্ন-এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানায়, "অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল অন্য কিছু করার। টিভি, ইউটিউবে বিভিন্ন হাতের কাজ ফলো করি। ঠিক তেমনি খবরের কাগজ দিয়ে মূর্তি বানানো দেখি। তখনই ঠিক করি এবার দুর্গা পুজোতে খবরের কাগজ দিয়ে দুর্গা বানাবো। সেইমতো রথের দিন থেকে শুরু করি দুর্গা তৈরি করার কাজ"।
advertisement
রথের দিন থেকে শুরু হয় তার এই শিল্পকলা। সবকিছুই নিজের হাতে করে তমোঘ্ন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে তার বাবা শমীক চট্টোপাধ্যায়। যেমন মা দুর্গার পুরো চালাটি করতে সাহায্য করেছে শমীক বাবু। এছাড়া সমস্ত কিছুই ১১ বছরের তমোঘ্ন-র নিজের হাতে করা। তবে পুজো হবে না প্রতিমার। বাড়ির ছাদেই প্যান্ডেল করে ফুল দিয়ে সাজানো হবে। তমোঘ্নর বন্ধু এবং পাড়ার প্রতিবেশীরা এসে দেখতে পারবেন তার এই তৈরি করা খবরের কাগজে দুর্গা প্রতিমা(Durga Idol)।
advertisement
ছেলের এই শিল্পকলায় খুশি পরিবারের সকল সদস্যেরা। শমীক বাবু জানিয়েছেন, এর আগেও একটি সোলার দুর্গা বানায় তমোঘ্ন। ছোটবেলা থেকেই আঁকতে খুব ভালোবাসতো এবং বিভিন্ন হাতের কাছে ঝোঁক ছিল। প্রায় দুই তিন মাসের প্রচেষ্টায় ছেলের এই কৃতিত্বে খুশি তার বাবা থেকে তার মা। আগামী বছরও আর এক নতুন ভাবনায় আবারও এগিয়ে আসতে চায় তমোঘ্ন তারই অপেক্ষায় রয়েছে সে।
advertisement
রাতুল ব্যানার্জি
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
খবরের কাগজের দুর্গা বানিয়ে তাক লাগালো অশোকনগরের ১১ বছরের তমোঘ্ন
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement