পুজোর চারদিনের পর দশমী বা তারপর থেকেই গঙ্গায় চলে জেলার বিভিন্ন বনেদি বাড়ি, বারোয়ারী পুজো ও ক্লাবগুলির প্রতিমা নিরঞ্জনের পালা । বহু বছর ধরে এই প্রথার সাথেই পরিচিত শহরবাসী। মা দুর্গার বিসর্জনের সাথে সাথেই গঙ্গায় বেড়ে চলে দূষণের মাত্রা । প্রতিমার গায়ের রং , শোলার গহনা , ফুল , বেলপাতা , টক্সিক সিন্থেটিক দ্রব্য , প্লাস্টার অফ প্যারিস গঙ্গাকে আরও বেশি করে দূষিত করে তোলে।
যদিও এই বছর প্রতিমা নিরঞ্জনের ফলে গঙ্গার দূষণ এড়াতে পুরসভার তৎপরতা অনেকটাই নজরে পড়লো । যার জেরে এই বছর গঙ্গা দূষণ কিছুটা কম হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা । পুরসভা ও হাওড়া সিটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে বাঁধাঘাট , রামকৃষ্ণপুর ঘাট - সহ বেশ কয়েকটি ঘাটে এই বছর প্রতিমা নিরঞ্জন সম্পন্ন হয়েছে । প্রতিক্ষেত্রেই গঙ্গাবক্ষে প্রতিমা নিরঞ্জনের সঙ্গে সঙ্গে , সেই প্রতিমাগুলিকে জল থেকে তুলে ঘাটের এক পাশে রেখে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । এর ফলে মূর্তিতে থাকা রং ও বিষাক্ত সিন্থেটিকের গঙ্গার জলের সাথে মেশা অনেকটাই আটকানো গেছে বলেই দাবি করছেন পুরসভার আধিকারিকরা । পাশাপাশি ফুল , বেলপাতা , মালা , কলাপাতা - সহ পুজোর সমস্ত জিনিসগুলিকেও গঙ্গায় ফেলা থেকে আটকাতে সেগুলিকে পুজো উদ্যোক্তাদের হাত থেকে সরাসরি সংগ্রহ করে নিয়েছেন পুরসভার কর্মীরা ।
এই বিষয়ে পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সহ-মুখ্য প্রশাসক সৈকত চৌধুরী জানান , " এই বছর গঙ্গার দূষণ এড়াতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে হাওড়া পুরসভা । পরবর্তীকালে বিসর্জনের ক্ষেত্রে অন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করা যায় কিনা সেই বিষয়েও নজর রাখবে পুরসভা ।"
অন্যদিকে গঙ্গায় বিসর্জনের সময় কোনপ্রকার দুর্ঘটনা এড়াতে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিল হাওড়া সিটি পুলিশও । বিসর্জনের ক্ষেত্রে কোভিড বিধি মেনে প্রতিটি পুজো আয়োজকদের থেকে মাত্র ৭ - ৮ জনকেই নামতে দেওয়া হয়েছে ঘাট চত্বরে । দুর্ঘটনা এড়াতে রিভার ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকেও ক্রমাগত টহল দেওয়া হয়েছে গঙ্গাবক্ষে ।
Santanu Chakraborty
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Ganga Pollution, Howrah