পূর্ব বর্ধমান: বন্ধ লোকাল ট্রেন ফলে পেট চালানোর দায় হয়েছে স্টেশনে থাকা হকারদের। দীর্ঘদিন লকডাউন এর জেরে লোকাল ট্রেনের চাকা ঘুরছে না তাই দেখাও মিলছেনা হকারদের। তাই হকার বিহীন বর্ধমান স্টেশন চত্বর যেন খা খা করছে। এই বর্ধমান হয়েই বিভিন্ন ট্রেন যায়, যেমন রামপুরহাট গামী ট্রেন এছাড়াও দিল্লি গামী ট্রেনও এই বর্ধমান মেইন লাইনের উপর দিয়েই যায়। তাই বর্ধমান স্টেশনেকেই লক্ষ্য করে অসংখ্য হকার নিজেদের সংসার চালান। কিন্তু এখন সবই বন্ধ। লকডাউন বদলে দিয়েছে অনেক হকারদের পেশা। পেটের দায়ে হকারদের একাংশ দিনমজুরের কাজ করছেন কেউ আবার সবজি বা মাছ বিক্রিতে ব্যস্ত হয়েছেন। তবে যারা পেশা পরিবর্তন করতে পারেননি তারা এখন শুধুই অপেক্ষা করছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায়। তাঁরা ভাবছেন কবে করোনা যাবে কবে বর্ধমান স্টেশন আবার নিজের রূপ ফিরে পাবে। মানুষের কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠবে স্টেশন চত্বর।
এই বর্ধমান স্টেশনই রয়েছে বিভিন্ন রকমের দোকান। রয়েছে সীতাভোগ, মিহিদানার দোকান। তবে এখন এই সব দোকানেই পড়েছে ধুলো। স্টেশনে হকারি করতে গিয়ে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয় কারো কারো। তারা কেউ কেউ ট্রেন বন্ধ থাকলেও যোগাযোগ বন্ধ করেন নি নিজেদের মধ্যে। যেসব নিত্যযাত্রীদের অবস্থা ভালো তাঁরা এই পরিস্থিতিতে হকারদের আর্থিক সাহায্য করছেন। কিন্তু এই সাহায্য থেকে অনেকেই বঞ্চিতও হচ্ছেন।
শুধুই বর্ধমান স্টেশনে হকাররা নিজেদের পসরা সাজিয়ে বসেন তা নয়, স্টেশনের বাইরেও অসংখ্য হকার আছেন যাদের অবস্থাও একই রকম। বিক্রি নেই, কারণ মানুষের ঢলটাই যে নেই স্টেশনে। তাই ব্যবসায় মন্দা চলছে।
উল্লেখ্য, গত বছরও রাজ্যে লকডাউন থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন হকাররা। তবে এ বছর শুরুতে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে থাকলেও সংক্রমণ বাড়ায়, রাজ্যে কার্যত লকডাউন ঘোষণা হয়। আর তারপর থেকেই লোকাল ট্রেনের চাকা থেমে যায়। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্টেশন চত্বরে থাকা হকাররা। এখন হকাররা শুধুই দিন গুনছেন কবে আবার স্বাভাবিক হবে সব কিছু। কবে তাঁরা চেনা ছন্দে জীবন যাপন করবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।