#কলকাতা: ভ্যালেন্টাইনস উইকের তৃতীয় দিনে আজ আমরা এসে পৌঁছেছি চকোলেট ডে-তে। সন্দেহ নেই, ভালোবাসার সঙ্গে কোথাও একটা গিয়ে যেন এক হয়ে গিয়েছে চকোলেটের সুস্বাদ। কিন্তু তা হল কী ভাবে? সেই রহস্যের নানা মোড়ে ঘুরে বেড়ানো যা এই বিশেষ দিনে!
বলা হয়, চকোলেট না কি আবিষ্কার করেছিলেন ইনকারা। ১৫১৯ সালে স্প্যানিশরা যখন আজটেক সভ্যতা আক্রমণ করেন, তখন তাঁরা দেখেছিলেন যে মায়া রাজা মন্তেজুমা একটা কালচে রঙের সুগন্ধি পানীয়তে চুমুক দিচ্ছেন। অনুচররা জানিয়েছিলেন, রাজা না কি দিনে বার তিরিশ ওই পানীয় খেয়ে থাকেন যাকে চকোলেট বলে। আরও জানা গিয়েছিল যে রাজার অন্তঃপুর ৫০জন যুবতীতে পরিপূর্ণ। স্প্যানিশরা ধরেই নেন যে এই পানীয় কামোদ্দীপক, তাই তাঁরা নিজের দেশেও ফিরে এসে প্রচলন ঘটান। সেই সূত্রে প্রথম নরনারীর সম্পর্কে যুক্ত হল চকোলেট।
ভিক্টোরিয়ান যুগে রিচার্ড ক্যাডবেরি নামে এক চকোলেট-বিক্রেতা হার্ট-শেপড বাক্সে চকোলেট ভরে বিক্রি করতেন ভ্যালেন্টাইন উইকে। সেখান থেকে মনের মানুষকে চকোলেট উপহার দেওয়ার রীতি দেখতে দেখতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে শুধুই হার্ট-শেপড বক্সে নয়, ক্যাডবেরির কোম্পানি এখন নানা রকম চকোলেট তৈরি করে থাকে, যা চকোলেট ডে-র পাশাপাশি সারা বছর ধরেই তুমুল বিক্রি হয়।
১৯৫০ সাল থেকে জাপানেও ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে চকোলেট উপহার দেওয়ার প্রথা শুরু হয় মোরোজফ নামের এক চকোলেট প্রস্তুতকারী সংস্থার হাত ধরে। তবে ওই দেশে কেবল প্রেমিকারাই চকোলেট উপহার দেন পুরুষদের। চকোলেট তাঁদের লাবণ্যের দিকটি এক্ষেত্রে প্রতীকায়িত করে। তা বলে পুরুষরা অকৃতজ্ঞ নন একেবারে, তাঁরা ১৪ মার্চ চকোলেট উপহার দেন নারীদের। এই দিনটিকে বলা হয় হোয়াইট ডে।
কোরিয়াতেও রয়েছে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে চকোলেট উপহার দেওয়ার রীতি। জাপানের মতো এই দেশেও দিনটিকে হোয়াইট ডে নামে পরিচিত। তবে এখানে আরও একটি মজাদার রীতি রয়েছে। যাঁরা এই দিনে চকোলেট পান না, তাঁরা কাছাকাছি কোনও রেস্তোরাঁয় গিয়ে ব্ল্যাক নুডলস অর্ডার দিয়ে নিজের সিঙ্গল স্টেটাস জাহির করেন।