#কলকাতা: সমস্য়া হৃদয়ের হোক বা হৃদযন্ত্রের, হেলাফেলা করলে চলে না! তবে হার্টের ব্যাপারে একটু বেশিই সাবধান থাকা বাঞ্ছনীয়। না হলে ব্যক্তি নিজে যেমন ভোগেন, তেমনই সমস্যায় পড়তে হয় বাড়ির লোককেও। তাই দেখে নেওয়া যাক, কোন ৬ নিয়ম মেনে চললে হার্টের অসুখকে দূরে রাখা যায়!
১. রিস্ক ফ্যাক্টরটা জানা
হার্টের অসুখের ক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টর বলে একটা ব্যাপার থাকে। যেমন কারও ক্ষেত্রে ধূমপান, কারও মদ্যপান, কারও কিডনির অসুখ, কারও বা বংশগত ভাবে এই রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে। তাই ডাক্তার দেখিয়ে এই ব্যাপারটা জেনে রাখা প্রয়োজন।
২. সুষম খাদ্যগ্রহণ
সুষম খাদ্য বলতে দুধ নয়, এক্ষেত্রে হার্টের পক্ষে ভালো খাবার বুঝতে হবে। যেমন, গ্রিন ভেজিটেবলস, ফল, গোটা শস্য, বাদাম, উদ্ভিজ প্রোটিন, মাছ, পরিমিত পরিমাণে মাংস ডায়েটে রাখতে হবে। ছেঁটে ফেলতে হবে জাঙ্ক ফুড, সফ্ট ড্রিঙ্ক এবং ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ।
৩. শরীরচর্চা
হার্ট ভালো রাখতে শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম জরুরি। এক্ষেত্রে প্রতি সপ্তাহে নিদেনপক্ষে ১৫০ মিনিট অ্যারোবিক এক্সারসাইজ বা ৭৫ মিনিট ঘাম-ঝরানো এক্সারসাইজ করতেই হবে।
৪. ওজনের দিকে চোখ রাখা
বাড়তি ওজন হার্টের পক্ষে সব সময়েই ক্ষতিকর। তাই নিয়মিত ওজন মাপতে হবে। ওজন বেড়ে গেলে সেটা ঝরিয়ে ফেলতেই হবে, না হলে হার্টে চাপ পড়বে। সেই জন্যই বিশেষ করে এক্সারসাইজের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
৫. তামাক-বর্জিত জীবন
এ তো জানা কথাই- হার্ট ভালো রাখতে হলে তামাক-বর্জিত জীবনযাপন করতে হবে। ধূমপান বা তামাকজাত অন্য প্রোডাক্টের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। কমিয়ে দিতে হবে মদ্যপানের পরিমাণও। খেলেও সেই ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে, তিনিই ঠিক করে দেবেন কতটুকু খাওয়া যাবে।
৬. নিয়মিত চেক-আপ, ওষুধ খাওয়া
যদি ইতিমধ্যেই হার্টের অসুখ শরীরে বাসা বেঁধে থাকে, তাহলে নিয়ম করে চেক-আপ করাতে হবে, ডাক্তারের লিখে দেওয়া ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। তাহলেই অনেকটা সুস্থ থাকা যাবে। না হলে ডাক্তারও বুঝতে পারবেন না যে কখন সমস্যার মুহূর্ত ঘনিয়ে আসছে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Drinking, Health, Health Tips, Healthy diet, Heart, Heart Disease, Smoking