#কলকাতা: সে এক দিন ছিল। যখন বাড়িতে মজুত রাখা হত গোছা গোছা মোমবাতি। লোডশেডিং হলেই প্রয়োজন হত তাদের। প্রতি ঘরে আলো করে থাকত ছোট-বড়, সাদা-রঙিন মোমবাতি (Scented Candles)। কালীপুজো বা দীপাবলির সময়ও খোঁজ পড়ত। ঘরের চৌকাঠ থেকে ছাদের রেলিংয়ে শোভা পেত মোমবাতি। ইদানিং তার কদর কমেছে। দীপাবলিতে জায়গা নিয়েছে ছোট টুনি ল্যাম্প। আর কারেন্ট গেলে ইনভার্টার বা চার্জার।
তবে হ্যাঁ, এখনও মোমবাতির বহুল প্রচলন রয়েছে একটা জায়গায়। সেটা হল তুলসীমঞ্চ। আগে প্রদীপ জ্বালানো হত। এখন তার জায়গা নিয়েছে মোমবাতি। তবে ইদানিং মোমবাতি দিয়ে গৃহসজ্জা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এতে ঘরে স্নিগ্ধ পরিবেশ তৈরি হয়। সঙ্গে ছড়ায় পজিটিভ এনার্জিও। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আরও দাবি, ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলে মেজাজ ফুরফুরে হয়, বৃদ্ধি পায় মনোযোগ। দেখে নেওয়া যাক মনের উপর কোন ধরনের প্রভাব ফেলে মোমবাতির আলো এবং সুগন্ধ।
মনোযোগ বাড়ায়
কাজের ডেস্কে কয়েকটি সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে। মোমবাতি থেকে আসা মিষ্টি ঘ্রাণ অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের মতো কাজ করে। ইদানীং বাজারে নানা সুগন্ধের ভেষজ মোমবাতি বিক্রি হয়। এর মধ্যে পুদিনা, লেবু, কমলা, রোজমেরি, দারুচিনির গন্ধ ইন্দ্রিয়কে চাঙ্গা করে। যা শুধু মনোযোগ বাড়াবে না, কাজেও উৎসাহ যোগাবে।
পুরানো সেই দিনের কথা
এখন ব্যস্ততার যুগ। পরিবারের জন্য সময় বের করাটাই অনেকের কাছে কঠিন। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ঘ্রাণ, স্মৃতি এবং আবেগকে উস্কে দেয়। মনে পড়ে যায় পুরানো সেই দিনের কথা। এজন্য সাহায্য করবে সুগন্ধি মোমবাতি। ঘরে জ্বালিয়ে কফি নিয়ে সোফায় শরীর এলিয়ে দিন। তার পর ভেসে যান কল্পনার ডানায়। সুগন্ধ এবং সুখানুভূতি মিলেমিশে এক প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা হবে, আগাম বলে দেওয়া যায়।
আরও পড়ুন: অ্যাজমা রোগীদের নতুন করে বাঁচতে শেখায় ইনহেলার, কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক?
মেজাজ হবে ফুরফুরে
লেবু জাতীয় ফল, ফুল বা শীতের মসলাদার সুগন্ধ মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। এই ধরনের মোমবাতি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের মতো কাজ করে হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মেজাজ ফুরফুরে হয়ে যায়। সাইট্রাস বা রোজমেরির সুগন্ধও মুডের উপর ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
ধর্মে আছে, জিরাফেও
পুজো পার্বণে মোমবাতির প্রচলন তো আছেই। এখন থেকে ঘরের অন্দরসজ্জাতেও ব্যবহার করা যায়। সন্ধেবেলা ঘরের ভিতরের আলো যেমন জ্বলে ওঠে, তেমন ভাবেই ঘরের কোণে কিংবা প্রবেশপথের কাছে, একটা সুন্দর রেকাবিতে কিছুটা জলের মধ্যে বাতিও জ্বলে উঠুক। মোহময় পরিবেশ তৈরি হবে। রাতে ত্বক পরিচর্যার সময় বা দিন শেষে এক কাপ কফি নিয়ে বসার সময়ও একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা যায়।
আরও পড়ুন: শিশুর উচ্চতা নিয়ে চিন্তায়? ভরসা রাখুন এই ৫ খেলায়! ফল পাবেন দুর্বার গতিতে...
নিশ্চিন্তের ঘুম
ইদানীং স্মার্টফোন আর ল্যাপটপেই অনেকটা সময় কেটে যায়। দু'টোই কিন্তু চোখের বড় শত্রু। ঘরের মধ্যে নিরিবিলি পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি মোমবাতি চোখকে আরাম দেয়। রোজ শোওয়ার আগে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা যায়। সেটাই নাইট ল্যাম্পের কাজ করবে। তাড়াতাড়ি ঘুমও এসে যাবে।
ক্লান্তি দূর করে
সারা দিনের অফিস বা বাড়ির কাজ সেরে ক্লান্ত। ঘরে ফিরে একটু শান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চান অনেকেই। এজন্য ঘরের ভিতর একটা সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে হবে। এর পর ফ্রেশ হয়ে হয়ে এসে আরাম করে সোফায় শরীর এলিয়ে দেওয়া যায়। তার আগে নিভিয়ে দিতে হবে ঘরের বৈদ্যুতিক আলো। ঘরে তৈরি হবে মায়াময় পরিবেশ। নিমেষে দূর হবে ক্লান্তি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Candle