#কলকাতা: বর্ষা হাজির হতে না-হতেই গ্রীষ্মের প্রবল তাপদাহের তেজ উধাও। বৃষ্টির আনন্দ আর আরাম তো আছেই। কিন্তু অন্য দিকে চোখ রাঙাচ্ছে নানা রকম সংক্রমণ। কারণ বছরের এই সময়টাতেই বাড়ে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার উপদ্রব। জ্বর-সর্দি তো আছেই, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে চোখের সংক্রমণও। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) বা রেড আই (Red Eye) ৷ এই বিষয়েই সচেতন করবেন হায়দরাবাদের ম্যাক্সভিশন সুপার স্পেশালিটি আই হসপিটালের (MaxiVision Super Specialty Eye Hospital Hyderabad) এমবিবিএস, এমএস ক্যাটারাক্ট অ্যান্ড লাসিক সার্জন ডা. শেষাচলম নীতিন (Dr. Seshachalam Nitin)।
তাঁর বক্তব্য, কংজাংটিভাইটিসের মূল কারণ হল ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া। আর চোখের এই সংক্রমণ (Eye Infection) প্রচণ্ড ছোঁয়াচে বা সংক্রামকও বটে। দ্রুত তা এক জনের থেকে অন্য জনের চোখে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কনজাংটিভাইটিসের উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হল- চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে জল পড়া এবং পিচুটিতে চোখ ভরে যাওয়া। সঙ্গে চোখে অস্বস্তি তো থাকেই। এ ছাড়াও ঘুম থেকে ওঠার পর চোখ খুলতে অসুবিধা হয়। কারণ চোখের উপরের এবং নিচের পাতা একে অপরের সঙ্গে জুড়ে যায়।
আরও পড়ুন- রথের পরেই জ্যোতিষচক্রে স্থান পরিবর্তন করবে বুধ; এই ৩ রাশির কপাল খুলতে চলেছে গোচরে!
সংক্রামক কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধ করার কিছু উপায় তো রয়েছেই। লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে এটা রোগীর চোখ থেকে অন্যের চোখে ছড়িয়ে না-পড়তে পারে। এর পাশাপাশি সঠিক হাইজিনও মেনে চলা জরুরি। এই রোগ প্রতিরোধের উপায়ের একটা তালিকা দেওয়া হল।
কোনও কিছুর পৃষ্ঠতল সংক্রমিত থাকতে পারে। যেমন, দরজার হাতল, টেবিলের উপরিভাগ, শৌচাগারের কল প্রভৃতি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত থাকতে পারে। তাই এই সব জিনিস ধরে চোখে হাত দেওয়া উচিত নয়। একান্তই চোখে হাত দিতে হলে হাত ভাল করে ধুয়ে কিংবা স্যানিটাইজ করে চোখে হাত দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
রোগীর ব্যবহার করা তোয়ালে, ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে রোগীর দেহ থেকে অন্যের দেহে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
বৃষ্টিতে বেরোনোর আগে চোখ ঢাকা চশমা পরতে হবে। যাতে চোখে বৃষ্টির জল পড়তে না-পারে, তার জন্যই এটা করা উচিত।
আরও পড়ুন- চুলে তেল দেন? আগে দেখে নিন কোন তেল আপনার চুলের জন্য সবচেয়ে ভাল
সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে আরও সতর্ক থাকতে হবে। তার জন্য একই কন্ট্যাক্ট লেন্স বারবার ব্যবহার করার বিষয়ে সাবধান হতে হবে। তাই কন্ট্যাক্ট লেন্স পরিষ্কার করে পরতে হবে।
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যালেন্সড ডায়েট খাওয়ার অভ্যেস করতে হবে। সবুজ শাক-সবজি স্বাস্থ্যকর হলেও অনেকে বর্ষায় এই ধরনের খাদ্যোপাদান এড়িয়েই চলেন। তাই এই মরশুমে শাক-সবজি না-খেতে চাইলে বিভিন্ন রকম মরশুমি ফল এবং প্রচুর পরিমাণে শস্য ও ডাল খেতে হবে। রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া খাবার-দাবার কিংবা জাঙ্ক ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
কনজাংটিভাইটিস অথবা চোখের সংক্রমণ হলে নিজের ইচ্ছেমতো বা ডাক্তারের পরামর্শ না-নিয়ে ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। সংক্রমণ হলে সাধারণত বেশির ভাগ মানুষ ওষুধের দোকান থেকে কিনেই ওষুধ খেয়ে নেন। এতে উপকারের তুলনায় বরং ক্ষতিই বেশি। চোখে কোনও রকম সংক্রমণ হলে কোনও চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। আর ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই ওষুধ খেতে হবে।
এই সব স্বাস্থ্যকর উপায় মেনে চললে এই বর্ষায় চোখের সংক্রমণ সহজেই ঠেকানো সম্ভব হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Eye-Care Tips