#কলকাতা: দাঁত দিয়ে নখ কাটাকে নিরীহ একটি অভ্যাস মনে করেন অনেকেই । কিন্তু আসলে কি এই অভ্যাসটি নিরীহ? ইংল্যান্ডের এক ব্যক্তি দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাসের কারণে মরতে বসেছিলেন প্রায়। ইংল্যান্ডের সাউথপোর্ট শহরের বাসিন্দা, ২৮ বছর বয়সী লুক হ্যানোম্যান তার দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাসের কারণে বিপদে পড়েন। তিনি দাঁত দিয়ে নখ কামড়াতে গিয়ে ভুলবশত কিছুটা ত্বক কেটে ফেলেন। তিনি ব্যাপারটাকে তেমন আমলে নেননি।
ছোট এই ঘটনার ফলাফল পেতে শুরু করেন লুক। তার ঠান্ডাজ্বরের মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে থাকে। কিন্তু জ্বর এবং কাঁপুনি উপেক্ষা করেও তিনি নিয়মিত কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করেন, ভাবেন ছুটির দিন ডাক্তার দেখাবেন। এ সময়ের মাঝে তার আহত আঙুলটি ফুলে যায় এবং টনটনে ব্যথা হতে থাকে।
শুক্রবার নাগাদ তিনি ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে ওঠেন পরদিন দুপুর ২টার দিকে। এত লম্বা সময় তিনি কখনওই ঘুমোন না। এবার ভয় পেয়ে যান লুক। তার মা ডাক্তারকে ফোন করেন এবং তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মাঝে হাসপাতালে না নিলে বাঁচবেন না লুক। হাসপাতালে চারদিন থাকার পর তাকে আশংকামুক্ত ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। ভাগ্য ভালো হওয়ার কারণেই বেঁচে গিয়েছেন লুক, বলেন ডাক্তাররা।
আসলে কী হয়েছিল তাঁর? ডাক্তাররা জানিয়েছেন, দাঁত দিয়ে নখ কাটার ফলে সেপসিস হয়েছিল তার। যে কোনো ছোটখাট ইনফেকশন থেকেই সেপসিস হতে পারে। এর জন্য ইনফেকশন নয় বরং ইনফেকশনের কারণে আমাদের শরীরের প্রতিক্রিয়াটিই ক্ষতিকর।
সাধারণত আমাদের শরীরে কোনও ইনফেকশন হলে তা এক জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে এবং সারা শরীরে তা ছড়িয়ে পড়া থেকে তাকে আটকায় আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কিন্তু ইনফেকশন বেশি তীব্র হলে তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে সারা শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তাই হলো সেপসিস। সেপসিস এবং সেপটিক শকের কারণে প্রতি বছর সারা বিশ্বে অন্তত ৬০ লক্ষ মানুষ মারা যান। যে কোনও বয়সের মানুষ সেপসিসে আক্রান্ত হতে পারেন।
দেখে নিন সেপসিসের মূল উপসর্গগুলো-
• বিভ্রান্তি বা কথা জড়িয়ে আসা ৷ • প্রবল কাঁপুনি বা পেশি ব্যথা ৷ • সারাদিনে একবারও মুত্রত্যাগ না হওয়া ৷ • শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া ৷ • ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ৷ • প্রচণ্ড দুর্বল লাগা ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nail Biting, Nails, Stop Nail biting