Foods That Cause Constipation: কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) যাঁর হয়, তিনিই বোঝেন যে কী কষ্ট! স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দকে একেবারে তছনছ করে দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পেট পরিষ্কার হয় না। ফলে গ্যাস হয়েই থাকে। এছাড়াও খাওয়ার কোনও রুচি থাকে না। পেট ভরে কিছু খাওয়ার ক্ষেত্রে একটা ভয় যেন সারাক্ষণ তাড়া করে বেড়ায় (Foods That Cause Constipation)।
কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) হলে পেট আর কোমরে ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা হল মলদ্বারেও। এছাড়াও চাপ পড়ে কোলনে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে সেখান থেকে কোলন ক্যানসারও হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপরিকল্পিত ডায়েট, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যা বংশানুক্রমিক। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়i (diet tips for constipation)। এখানে একটা খাবারের তালিকা দেওয়া হল, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে (Foods That Cause Constipation) ।
রেড মিট:
রেড মিট (খাসির মাংস বা যে সব মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে) এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকেই সকালের জলখাবারে সসেজ, স্টেক, রোস্ট পছন্দ করেন। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এগুলো ছোঁয়াও চলবে না। এই জাতীয় খাবার অন্ত্রে বহুক্ষণ থাকে, হজম হতে সময় লাগে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া রেড মিট নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন - যতই ভাল করুন, এই পাঁচ রাশির মানুষকে অন্যরা ভুল বোঝে! আপনি নেই তো এই দলে?
গ্লুটেন:
গ্লুটেন মূলত এক ধরনের জটিল প্রোটিন। এর কাগুজে নাম প্রোলামিন। গম, রাই, বার্লিতে থাকে। গ্লুটেন এক ধরনের আঠালো পদার্থ, যা খাবারটিকে বেক করার সময় ফুলে উঠতে সাহায্য করে। মূলত রুটি, পাউরুটি, পাস্তা, কেক, চিপস, সস, বিয়ার - এসব খাবার ও পানীয়ে গ্লুটেন থাকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
তেল এবং ভাজাভুজি:
স্ন্যাকস জাতীয় খাবার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই, পোটেটো চিপস বা ওই জাতীয় তেলে ভাজা খাবার অন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর। এগুলি অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজে বাধা দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
আরও পড়ুন - এই রাশির জাতিকারা অত্যন্ত দাপুটে-রাশভারী! মেধা-বুদ্ধি-কৌশল দিয়েই পালাবদল শুরু
হিমায়িত খাবার:
ঠান্ডায় সংরক্ষিত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে জল শুকিয়ে ফেলা হয় এবং এই খাবারগুলিতে লবণের পরিমাণও বেশি থাকে। ফলে এ ধরনের খাবারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়ে।
দুধ এবং বেকারি পণ্য:
বেকারি পণ্য যেমন, বিস্কুট, ক্র্যাকার্স বা পেস্ট্রিজাতীয় খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। শুধু তা-ই নয় বেকারির খাবারে জলীয় অংশ বা ফাইবারের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য এগুলি এড়িয়ে চলাই ভালো। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন: পনির, আইসক্রিম ইত্যাদি) কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে অনেকের। আসলে এই ধরনের খাবারে ফাইবারের পরিমাণ খুব কম। তবে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় দুধ থাকাটা খুবই জরুরি। হজমে সহায়ক হিসেবে টক দই খুবই উপকারী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Constipation, Diet Tips