#কলকাতা: বাঙালির দুর্গাপুজো হোক বা সর্বভারতীয় নবরাত্রি- দেবীপক্ষের দিনগুলিতে খাদ্য এবং পানীয়ের দিক থেকে শুদ্ধাচার রক্ষা করে চলেন অনেকেই। যতটা সম্ভব সংসারে থেকেও অটুট রাখতে চান সাত্ত্বিক ভাব! যাতে মা দুর্গার আশীর্বাদ সারা বছরের জন্য পাথেয় হয়! বেশ কথা! কিন্তু সেই সাত্ত্বিক খাদ্যাভ্যাস যদি সারা বছরই বজায় রাখা যায়, তা হলে কেমন হয়? আয়ুর্বেদের গুণযুক্ত তেমনই ৫ পানীয় কিন্তু দশভুজার মতো আপনাকে সারা বছর আগলে রাখতে পারে অসুখের হাত থেকে!
স্বাদে নয়, রোগমুক্তিতে কড়া: ভারতীয় আয়ুর্বেদ মন্ত্রক, যোগ এবং পুষ্টি মন্ত্রক, ইউনানি, সিদ্ধ, এমনকি হোমিওপ্যাথি মতেও রোগবালাই দূরে রাখতে কড়া চায়ের বিকল্প নেই। তুলসী, দারচিনি, গোলমরিচ, আদা, হলুদ আর কিসমিসের মিশ্রণযুক্ত এই চা নামেই শুধু কড়া! আদতে তা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এবং আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে রোজ প্রতি চুমুকে।
দশভুজার ত্রিশূল আর আপনার ত্রিফলা: দেবীর হাতে যেমন শোভা পায় ত্রিশূল, আপনার হাতেও তেমনই প্রতি সকালে আমলকী, বিভীতকী, হরীতকী আর যষ্টিমধুযুক্ত এক গেলাস ত্রিফলার রস থাকুক না! ভিটামিন সি, গ্যালিক অ্যাসিড আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই রস যেমন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, তেমনই ত্বকও রাখবে নিত্য উজ্জ্বল।
গায়ে নয়, পেটে হলুদ: হলুদবাটার প্রলেপ ত্বকে কেমন জেল্লা আনে, সে তো সবাই জানি। কিন্তু ওই এক জিনিস একটু মধু দিয়ে এক গেলাস দুধে মিশিয়ে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খাওয়া অভ্যাস করুন। আসলে হলুদ তো একাধারে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরা। তাই সুন্দর ঘুম, গাঁটে ব্যথা, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি তা আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
আদায় করুন আদা-তুলসীর অমোঘ গুণ: জল ফুটলে তাতে চায়ের পাতার সঙ্গে একটু আদার কুচি আর কয়েকটা তুলসীর পাতাও ফেলে দিন! ব্যস! এটুকুতেই প্রতি চুমুকে আপনার শরীর সমৃদ্ধ হবে এই পানীয়র অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণে।
পিত্ত সুস্থ তো চিত্ত তুষ্ট: পিত্ত পড়লে মানে পিত্তদোষের সমস্যা থাকলে হজমের সমস্যা, ব্রনর সমস্যা, দুশ্চিন্তার সমস্যার পাশাপাশি হৃদযন্ত্র অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই চায়ের সঙ্গে গোটা জিরে, গোটা ধনে, গোটা মৌরি, গোলাপের পাপড়ি ফুটিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন- উপকার বই অপকারের সম্ভাবনা নেই।