আমরা যেমন পরিচিতরা দেখা করে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করে থাকি বা কোনও কাজের সূত্রে লাঞ্চে বা ডিনারে অফিসিয়াল বৈঠক হয়, তেমনটা হয়ে থাকে সমাজের উপরমহলেও। বরং একটু যেন বেশিই হয়ে থাকে। তো, Tesla-র কর্ণধার এলন মাস্ক (Elon Musk) আর Amazon-এর কর্ণধার জেফ বেজোস (Jeff Bezos) যদি এক টেবিলে বসে খানাপিনা করেই থাকেন, তাতে অসুবিধার কী আছে? দু'জনেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত, তার উপরে আবার বিশ্বের প্রথম সারির ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁদের। তাঁরা যদি নিজেদের মধ্যে মেলামেশা না করেন তো কারা করবেন?
মুশকিল হল, এভাবে ব্যাপারটাকে দেখলে ভুল করা হবে। আসলে দুনিয়ার সব কিছু তো আর হিসেবমাফিক ঘটে না। মাস্ক আর বেজোসের নিজেদের মধ্যে দেখা করতে অসুবিধা নেই ঠিকই, কিন্তু দেখা তাঁরা করেন না। যাঁরা বাণিজ্যের দুনিয়ার খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের এই ব্যাপারটা জানা! আর যাঁদের জানা নেই, তাঁদের জন্য রহস্যটা খোলসা করে দেওয়া যায় এবারে! তবে সবার প্রথমে যে কথাটার উল্লেখ না করলেই নয়- মাস্ক আর বেজোসকে ছবিতে বড্ড কমবয়সী লাগছে না?
1/ In 2004, Elon Musk and Jeff Bezos met for a meal to discuss space. It was one of their few in-person interactions. The conversation they had perfectly captures the different approaches they've taken to space exploration. Here's the story pic.twitter.com/g8hAsEj3d4
— Trung Phan (@TrungTPhan) March 1, 2021
তা তো লাগবেই! কেন না ছবিটা যে পাক্কা ১৭ বছরের পুরনো, সে কথা নিজের মুখে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বীকার করে নিয়েছেন মাস্ক। সম্প্রতি ট্রাং ফান নামের এক ট্যুইটারেতির হাত ধরে ২০০৪ সালের এই ছবি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে উঠে এসেছে পুরনো স্মৃতিও। যে স্মৃতির শুরুটা সুখের তবে পরিণতিটা আদ্যন্ত বিবাদের!
জানা যায় যে Amazon নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও আদতে বেজোসের লক্ষ্য ছিল স্পেস নিয়ে কাজ করা, সেই মতো স্পেসক্রাফ্ট বানানোর ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন তিনি। অন্য দিকে মাস্কেরও রয়েছে একই লক্ষ্য। তাই ২০০২ সালে eBay যখন PayPal কিনে নেয়, তখন সেই টাকাটা দিয়ে মাস্ক SpaceX খোলা পরিকল্পনা করেন। আর সেই সূত্রেই বেজোসের সঙ্গে তাঁর এক সৌহার্দ্যপূর্ণ লাঞ্চের আয়োজন হয়। কিন্তু আক্ষেপের বিষয়, নীতি এবং মতপার্থক্যে জড়িয়ে পড়েন বিশ্বের এই দুই ডাকসাইটে বিজনেস টাইকুন। ফলে হাত মিলিয়ে কাজ করা আর হয়ে ওঠেনি। উল্টে, নানা প্রসঙ্গে মাস্ককে উদ্দেশ্য করে নানা সময়ে কটাক্ষ করেছেন বেজোস।
এবারেও ঠিক এক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই অতীত মুহূর্ত নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বেজোস। তবে মাস্ক কিন্তু রাখঢাক করেননি। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন যে ১৭ বছর পেরিয়ে গিয়েছে এই সাক্ষাতের পর এটা তাঁর এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Elon Musk, Jeff Bezos