এই মহামারীর ফলে প্রত্যেকেই এক কিংবা একাধিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আচমকা শুরু হওয়া লকডাউন থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্যানিটাইজেশন পদ্ধতিকে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিণত করা, এমন বিভিন্ন বিষয়ের জন্য আমাদের প্রত্যেককেই অনেক কিছু অ্যাডজাস্ট করতে হয়েছে ও নতুন করে শিখতে হয়েছে। অনেক সময় যেটা করতে হয়তো অনেকেরই অসুবিধা হয়েছে, সেটা হল বৃহত্তর উদ্দেশ্যের কথা প্রতিটা মুহূর্তে মাথায় রাখা এবং সেই অনুসারে নিজেদের নিরাপত্তার খাতিরে সাবধানী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যার ফলস্বরূপ আগামী কাল সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।
ঠিক এই বিষয়টিই প্রচার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে Nerolac, তাদের #AajCarefultohKalColourful ভাবনার মাধ্যমে। এই বছর ১০০তম জন্মবার্ষিকী পালন করছে Kansai Nerolac, এবং এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ও এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সকলে যে মনোভাব দেখিয়েছেন- তাকে স্যালুট জানানোর জন্য ACKC প্রতিযোগিতা ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত উপায়। Nerolac জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, তাঁদের গল্প বাকিদের সাথে শেয়ার করার জন্য – কীভাবে তাঁরা নিজেদের ও প্রিয়জনদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সচেতন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নতুন বিভিন্ন পন্থাকে কীভাবে তাঁরা জীবনের অঙ্গে পরিণত করেছেন। সেরা গল্পগুলির প্রেরকেরা পাবেন Nerolac-এর তরফে রঙিন চমক, অর্থাৎ তাঁদের বাড়ির একটি ঘর রঙিন করে তোলা হবে।
নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে, অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০০টির বেশি এন্ট্রি জমা পড়েছিল, তার মধ্যে অধিকাংশ গল্পেই ফুটে উঠেছিল কীভাবে লোকেরা নতুন অভ্যাসের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন এবং বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন, যাতে উন্নত, উজ্জ্বল এবং আরও রঙিন ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়। লোকজন যে ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তা দেখে উদ্যোক্তারা অভিভূত, যেভাবে লোকজন নতুন অভ্যাসের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছেন এবং নিরাপদ থাকার জন্য যে সমস্ত স্বতঃপ্রণোদিত ও সাবধানী উপায় অবলম্বন করছেন, তা অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক।
এই গল্পগুলিতে অনেক খুঁটিনাটি জিনিস গুরুত্ব পেয়েছে। যেমন, বাড়িতে ফেরার সাথে সাথে অবশ্যই স্নান করে নেওয়া, সর্বদা খেয়াল রাখা যাতে কেউ স্যানিটাইজার ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরোন, বাইরে গেলে সব সময় মাস্ক পরা এবং বাকিরাও যাতে এই নিয়মগুলি মেনে চলেন সেই দিকে নজর রাখা, এমন বহু অভ্যাস ও জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কথা বহু মানুষ তাঁদের গল্পে লিখে জানিয়েছেন। সেরা গল্প বাছাই করার কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না, তবে শেষ পর্যন্ত তিন জন ভাগ্যবান বিজেতাকে বেছে নেওয়া হয়েছে যাদের বাড়ির একটি ঘরের দেওয়াল রঙ করা হবে Nerolac Excel Virus Guard-এর দ্বারা, এটি এমন একটি পেইন্ট যা আপনার ঘরের দেওয়ালকে ৯৯.৯% ভাইরাস এবং ব্যাক্টেরিয়ার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। তার পাশাপাশি এটি ঘরের দুর্গন্ধ এবং আর্দ্রতা কমাতেও সাহায্য করে এবং আন্তর্জাতিক মানের ফ্যাব্রিক ফিনিশ প্রদান করে।
তিন ভাগ্যবান বিজেতার মধ্যে একজন, পূজা গর্গ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জানিয়েছেন যে, তিনি কীভাবে দিনের অধিকাংশ সময় ঘরের ভিতরে থাকার অভ্যাস তৈরি করেছেন; এর অর্থ হল খুব প্রয়োজন ছাড়া তিনি কখনোই বাড়ির বাইরে যেতেন না এবং শুধুমাত্র অত্যন্ত জরুরি দরকারের ক্ষেত্রে ঘরের বাইরে পা রাখতেন। এভাবে, তিনি নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও সুরক্ষিত রেখেছেন। আর এক ভাগ্যবান বিজেতা, নিশা ধিংড়া তাঁর গল্পের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তিনি সর্বদা স্যানিটাইজেশান করার দিকে নজর দিতেন এবং নিশ্চিত করতেন যেন কেউ বাইরে থেকে ঘুরে এসে সেই জুতো পায়ে দিয়ে ঘরে না ঢোকে, এই দুটি জিনিস তিনি নিজের অভ্যাসে পরিণত করেছেন। তৃতীয় বিজেতা রেণু ঠাকুর লিখে জানিয়েছিলেন যে, তিনি সর্বদা আশপাশ পরিষ্কার রাখায় বিশ্বাসী। ঘরে কেউ বা কোনও জিনিস ঢোকার সাথে সাথে তাকে বা সেই জিনিস স্যানিটাইজ করতেন, এবং তিনি একাধিক বার ব্যবহারের উপযোগী মাস্ক ব্যবহার করতেন ও বাইরে থেকে ঘুরে আসার পরে প্রতি বার সেই মাস্ক ভালো ভাবে ধুয়ে নিতেন।
এঁরা হলেন এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী যাঁরা বর্তমান সময়ে সচেতন ভাবে জীবনযাপন করার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন, যাতে ভবিষ্যৎ আরও ভালো, আরও রঙিন হয়ে ওঠে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই বিজয়ী। আমরা, ভারতীয় নাগরিকরা, স্যানিটাইজেশান এবং পরিচ্ছন্নতাকে নিজেদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করার মাধ্যমে এই মহামারীর সাথে সফল ভাবে মোকাবিলা করে বাকি বিশ্বের সামনে উদাহরণ তৈরি করেছি। কারণ, এই লড়াই উন্নত ভবিষ্যতের জন্য। আশা করা যায়, এই নতুন অভ্যাসগুলি জীবনযাপনের অংশে পরিণত হবে, এবং আমরা একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে যাব একটি নিরাপদ, উন্নত এবং আরও রঙিন ভবিষ্যতের দিকে!
এটি একটি পার্টনার পোস্ট
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Nerolac