প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ বুধবার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
নারদে বহাল সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেল না রাজ্য
দেশের শীর্ষ আদালতে এসে কার্যত মুখ পুড়ল রাজ্য সরকার এবং নারদ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদদের। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তই বহাল থাকবে। একই সঙ্গে হাইকোর্টের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলায় শীর্ষ আদালতের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে রাজ্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হয়েছে।
‘রায় ভাল হয়েছে, ইতিবাচক’! মমতার প্রত্যয়ে প্রশ্ন দলে
নারদ কাণ্ডে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সেই অস্বস্তি যেন গায়েই মাখতে চাইলেন না মুখ্যমন্ত্রী। উল্টে এ দিন সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বেরনোর সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাহসী মুখ দেখিয়ে বলেন, ‘‘রায় ভাল হয়েছে। ইতিবাচক।’’
স্পর্শকাতর, আপোসে মিটিয়ে নিন বাবরি-রাম মন্দির মামলা, সুপ্রিম কোর্ট
রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত আইনি লড়াই মেটাতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিলেন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এমন নজির আর নেই বলে মত প্রবীণ আইনজীবীদের। প্রধান বিচারপতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বিশেষ উৎসাহী নয় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ।
জুটির মাঝে আমি ঢুকে পড়েছিলাম, তাই হার হল: কটাক্ষ আদিত্যনাথের
একের পর এক হাই প্রোফাইল বৈঠক, সৌজন্য সাক্ষাৎ, আলাপচারিতা এবং সাংসদ হিসেবে চলতি লোকসভায় তাঁর শেষ ভাষণ— এত কিছু মিলিয়ে মঙ্গলবার দিনভর দিল্লিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে রইলেন যোগী আদিত্যনাথ। রবিবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। সোমবারটা কাটিয়েছিলেন নিজের রাজধানী লখনউতে। কিন্তু মঙ্গলবার দিনভর ব্যস্ত থাকতে হল দেশের রাজধানীতে। প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক তো বার বার খবরে উঠে এলই। লোকসভা থেকে বিদায় নিতে গিয়ে রাহুল-অখিলেশ জুটিকে যে মখমলি খোঁচাটা দিয়ে এলেন, তা নিয়েও বেশ আলোচনা চলল রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।
নারদকাণ্ডে সিবিআই বহাল
নারদ কাণ্ডে সিবিআই তদন্তই বহাল রইল। প্রায় দেড় ঘণ্টার শুনানির শেষে আজ স্পষ্ট ভাষায় একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, সিবিআইকে এত ভয় কীসের? একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের বেঞ্চ জানিয়ে দিল, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনও ক্রটি নেই। সেই মতো হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নারদ স্টিং অপারেশনে যাঁদের টাকার লেনদেন করতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের আবেদন (এসএলপি) সরাসরি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কেবল সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশই নয়। কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে যে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল, সেই ‘সময়সীমা’ও বাড়িয়ে দিল সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি খেহরের নির্দেশ, হাইকোর্ট যেদিন রায় দিয়েছে, তার থেকে এক মাসের মধ্যে সিবিআই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে।
রায়কে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নারদকাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে বেরনোর পথে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রায় তো ভালোই হয়েছে। ইতিবাচক এবং গঠনমূলক। তাঁর মতে, এই রায়ের ফলে যাঁরা নারদ স্টিং অপারেশন করিয়েছেন, তাঁদের বিষয়েও তদন্ত হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁরাও ফের আবেদন করতে পারবেন। তবে নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে যিনি সওয়াল করেন, সেই সরকারি আইনজীবী মৃণাল মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নবান্নের কর্তাব্যক্তিরা মনে করেন, তাঁকে যে ‘ব্রিফ’ দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে তিনি কথা বলেছেন। তিনি যা বলেছেন, তা সরকারের মত নয়।
রাম মন্দির নিয়ে মধ্যস্থতায় রাজি সর্বোচ্চ আদালত
যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রামমন্দির জাতীয় রাজনীতির ভরকেন্দ্রে চলে এল। যোগীর গদিতে আসীন হওয়ার পর রামমন্দির নিয়ে যখন আবার তুমুল আগ্রহ আর জল্পনা তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই আজ সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা নিয়ে অবস্থানে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবিরে। আদালতের বাইরেই অযোধ্যা ইস্যুর মীমাংসা হোক, সুপ্রিম কোর্ট আজ এই মর্মে অবস্থান জানিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে এস কেহর জানিয়ে দিয়েছেন আদালত নয়, তিনি চান বিবদমান দু’পক্ষ আলোচনা করে মন্দির মসজিদ বিতর্ক মিটিয়ে নিক। একধাপ এগিয়ে তিনি আরও বলেছেন, প্রয়োজন হলে তিনি মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতেও রাজি। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টকে জানাতে হবে হিন্দু ও মুসলিম দু’পক্ষের আলোচনার ফল কিংবা গতিপ্রকৃতি কী হতে চলেছে।
পুলিশ পরিচয়ে ঘরে ঢুকে খুন ব্যান্ডেলে
সাতসকালে রবীন্দ্রনগরে গুলি করে ইমারতি ব্যবসায়ীকে খুনের আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তারই মাঝে সোমবার গভীর রাতে চুঁচুড়া থানার কানাগড়ের শরৎপল্লিতে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে স্বরূপ বণিক (৩৫) নামে এক হকারকে স্ত্রী ও মেয়ের সামনে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার কথা চাউর হতেই হুগলির জেলা সদর শহর চুঁচুড়ায় ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরবাসীর অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে জেলা সদর দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। শহরবাসীর দাবি, ছ’মাসে ১৮টি খুন হলেও, দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য রুখতে, তাদের পাকড়াও বা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। হুগলির পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, পুরানো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা অনুমান করছি। কয়েকটি সূত্র পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
সম্মতি দিল সেনা, মেট্রো স্টেশনের জমি এসপ্ল্যানেডে
মঙ্গলবার সকালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে সম্মতি-সূচক ফোনটা আসার পর স্বস্তির আবহ দুই মেট্রো রেলের দপ্তরেই ৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের থেকে আসা এই ফোনের উপরেই নির্ভর করছিল এসপ্ল্যানেডে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ও মেট্রো রেলওয়ে কলকাতা-এই দুই মেট্রোর ‘ইন্টারসেকশন পয়েন্ট’ তৈরির পরিকল্পনা ৷
ক্ষমা চান, ধমক বিচারপতির
রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের আবেদন শুধু খারিজই করেনি সুপ্রিম কোর্ট, কড়া ভর্সনাও করেছে ৷ রাজ্যের প্যানেলভুক্ত আইনজীবী মৃণালকান্তি মণ্ডলকে দিয়ে তাদের স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করার আগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনাও করিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
রায় ইতিবাচক, বললেন মমতা
নারদ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মুখ পোড়াল রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস ৷ দল এবং সরকারের আর্জি উড়িয়ে দিয়ে শীর্ষ আদালত মঙ্গলবার জানিয়ে দিল, নারদ তদন্ত সিবিআইয়ের হাতেই থাকবে ৷
রায় ঘোষণা হতে গুমোট ভাব তৃণমূলে
মঙ্গলবার সকাল থেকেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নজর ছিল শীর্ষ আদালতের দিকে ৷ বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসার পরেই গুমোট ভাব জাঁকিয়ে বসে গোটা শাসকদলে ৷