প্রতিদিনের ব্যস্ততায় খবর কাগজ খুঁটিয়ে পড়া সম্ভব হয় না ৷ অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ খবর চোখ এড়িয়ে যায় ৷ তাছাড়া একাধিক কাগজও পড়ার মতো সময় কারোর হাতেই নেই ৷ তাই আসুন এক নজরে, একজায়গায় দেখে নিন কলকাতার বিভিন্ন কাগজের সেরা খবর গুলি ৷ মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি হল-
১) টাটা-রাজ্যে রদবদল, সাইরাসকে সরিয়ে রাশ ফের রতনের হাতেতাবড় কর্পোরেট দুনিয়াকে চমকে দিয়ে চেয়ারম্যানের পদ থেকে সাইরাস মিস্ত্রিকে সরিয়ে দিল টাটা গোষ্ঠী। অন্তর্বর্তী কর্ণধার হিসেবে ফিরলেন ৮০ ছুঁইছুঁই রতন নভল টাটা-ই। সেই রতন টাটা, ২১ বছর রাজ্যপাট সামলানোর পরে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে যাঁর কাছ থেকে ব্যাটন নিয়েছিলেন সাইরাস। টাটা গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাইরাসকে সরানোর কথা ঠিক করেছে তাদের হোল্ডিং (মূল) সংস্থা টাটা সন্স। সিদ্ধান্ত হয়েছে সোমবারই, পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে। টাটা সন্স ও টাটা গোষ্ঠীর দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের কথা ভেবেই এই পরিবর্তন। এ দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে এই পট বদলের কথা জানিয়েছেন খোদ রতন টাটা। দায়িত্ব নেওয়ার পরে কর্মীদের লেখা এক চিঠিতেও টাটা জানিয়েছেন যে, গোষ্ঠীর স্থিতিশীলতার কথা মাথায় রেখেই এই দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন তিনি।
২) দল না ভাঙলেও রণক্ষেত্র লখনউ
যুদ্ধে বিরতি! নাকি এটাই সংঘাতের আনুষ্ঠানিক পরিণতি? শেষ কথা বলার সময় আসেনি। তবে এটা ঘটনা, আজ অন্তত ভাঙল না সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু স্পষ্ট হয়ে গেল যাদব কুলে কার ঘা কতটা দগদগে! কতটা গভীর দলের অন্দরের চিড়! যা ধামাচাপা দিতে গভীর রাত পর্যন্ত দলের মাথারা দফায় দফায় বৈঠক চালালেও গোটা পর্বে মোদ্দা যে প্রশ্নটি উঠে এল তা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত ভাঙন ঠেকানো যাবে তো মুলায়ম সিংহ যাদবের দলে?৩) লোঢার নতুন ইয়র্কারে ফের বোল্ড বোর্ডটিমের দশ নম্বর ব্যাটসম্যান ক্রিজে নামলে প্রতিপক্ষ যে ভাবে সেরা পেসারকে লেলিয়ে ইয়র্কারের পর ইয়র্কার নিক্ষেপ করতে থাকে, ভারতীয় বোর্ড বনাম লোঢা কমিশনের যুদ্ধের ছবিটা অনেকটা তেমনই। একে তো সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ ‘বাউন্সারে’ বোর্ড এমনিই বিপর্যস্ত। বোর্ড রাজকোষের মালিকানা অনুরাগ ঠাকুরদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে লোঢা কমিশনকে দিয়ে দিয়েছে। তার উপর কমিশন স্বয়ং। রায়-পরবর্তী সময়ে বোর্ডকে যারা প্রথম সম্ভাষণই জানাল মারাত্মক এক ইয়র্কারে।
৪) তিন তালাক থাকবে কেন, প্রশ্ন মোদীরআগে তুলেছিলেন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। আজ মুখ খুললেন তিন তালাক নিয়ে। এ বারেও সেই ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে দাঁড়িয়ে। গো-বলয়ের সব থেকে বড় রাজ্যে মেরুকরণের তাস উস্কে দিয়ে ধীরে ধীরে উত্তাপ বাড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মেরুকরণের রাজনীতিতে ধুয়ো দিতে পাল্টা জবাব দেওয়ার কথা যাদের, সেই সমাজবাদী পার্টিই এখন ঘরের কোন্দলে ব্যস্ত। সে কারণে তিন তালাকের প্রসঙ্গ টেনে আনার পরেও আজ কৌশলে কিছুটা বদল এনে সমাজবাদীর পাশাপাশি মায়াবতীকেও আক্রমণের নিশানায় আনতে হল প্রধানমন্ত্রীকে।
১) টাটাগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত সাইরাসটাটা ডট কম নামের নিজেদের কোম্পানির মিডিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি টাটা সনসের চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রি বলেছিলেন, স্বল্পকালীন নয়, আমরা আগামী দেড়শো বছরের জন্য টাটা গোষ্ঠীর বিজনেস প্ল্যান রেডি রাখছি। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু টাটা সাম্রাজ্যে আচমকাই অঘটন। সম্পূর্ণ বিনা নোটিসে ৪৮ বছরের সাইরাস মিস্ত্রিকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। যিনি আগামী দেড়শো বছরের এগিয়ে যাওয়ার প্ল্যান করছিলেন, তাঁর নিজের মেয়াদ চার বছরও পূর্ণ হল না। আজ টাটা গ্রুপের তরফে আচমকা ডাকা বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে সাইরাস মিস্ত্রিকে যেমন টাটা সনসের চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে রতন টাটা সরে গিয়েছিলেন, ঠিক সেই নাটকীয়তার রেশ ধরেই চার বছর পর আজ সাইরাসকে সরিয়ে দেওয়া হল। এবং ফের চেয়ারম্যান পদে অভিষিক্ত হলেন আদি অকৃত্রিম টাটা গোষ্ঠীর প্রধান মুখ রতন টাটা। চার মাসের জন্য। আবার নতুন কোনও চেয়ারম্যান মনোনীত করতে পাঁচ সদস্যের এক উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠিত হয়েছে। সেই কমিটিতে আছেন খোদ রতন টাটা, বেণু শ্রীনিবাসন, রণেন সেন, লর্ড কুমার ভট্টাচার্য এবং অমিত চন্দ্র।
২) সিপিএম-কংগ্রেস জোট ভেঙে গেল, আলাদা প্রার্থী দু’পক্ষেরইরাজ্যের আসন্ন উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাম-কংগ্রেস সখ্যের অবসান হল। মূলত, তৃণমূল বিরোধী ভোট ভাগাভাগি রোখার লক্ষ্যে মাস ছ’য়েক বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিতে রাজ্যস্তরে চির প্রতিপক্ষ এই দুই শিবির আসন বোঝাপড়া করেছিল। কিন্তু তমলুক ও কোচবিহার লোকসভা এবং মন্তেশ্বরের বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একতরফাভাবে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে বামফ্রন্ট। তারই জেরে সোমবার দলীয় বৈঠকে ওই তিন আসনে প্রদেশ কংগ্রেসও প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বস্তুত জোটের ইতি ঘটল বলেই রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা। হাইকমান্ডের কাছে প্রার্থীদের তালিকা এদিনই পাঠানো হয়েছে। বিধানসভা ভোটে জোটের ভরাডুবির পর থেকেই সংশ্লিষ্ট মহলে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে।
৩) পাক সেনার আক্রমণে হত ছ’বছরের শিশু, শহিদ এক বিএসএফ জওয়ান, পালটা জবাব ভারতীয় সেনাররবিবার রাতভোর সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনার গুলিতে প্রাণ গেল ছ’বছরের এক শিশুর। শহিদ হয়েছেন বিএসএফের এক জওয়ানও। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৯ বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে এক মহিলার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। বিএসএফ সূত্রে খবর, রবিবার রাত থেকে জম্মুর একাধিক সাব সেক্টরের সীমান্তে ছোট স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং মর্টার নিয়ে বিনা প্ররোচনায় অতর্কিতে হামলা শুরু করে পাক সেনা। তাদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল ২৫টির বেশি বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) এবং আর এস পুরা, আরনিয়া, সুচেতগড়, কানাচক, পারগওয়াল এলাকার সাধারণ মানুষ।
৪) জঙ্গিদের গুলি, অল্পের জন্য বাঁচলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীসবে হেলিপ্যাড থেকে নেমেছেন । ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে এল মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি সিংকে লক্ষ্য করে। অল্পের জন্য তিনি এদিন জঙ্গি হামলা থেকে রক্ষা পেলেন। জঙ্গিদের গুলিতে অবশ্য জখম হয়েছেন ইবোবির দেহরক্ষী কমান্ডোরা। এই আচমকা হানার জন্য তৈরি ছিলেন না ইবোবির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে মণিপুর রাইফেলসের জওয়ানরা প্রত্যাঘাত করেন। জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে তারা পালিয়ে যায়। গোটা হেলিপ্যাড রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কিছুক্ষণের জন্য। মণিপুর রাইফেলসের জওয়ানরা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে আরম্ভ করলে সেই ফাঁকে ফের হেলিকপ্টারে চড়ে উখরুল থেকে চিঙ্গাইয়ের দিকে রওনা হয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন উখরুল জেলায় বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী ইবোবির।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Newspaper Headlines, Todays Newspaper, Todays Newspaper Headline, Tuesday Morning Newspaper