হোম /খবর /কলকাতা /
সামাজিক দূরত্ব মানতে বাস, ট্যাক্সি ছেড়ে স্কুটি, মোটর বাইকেই ভরসা

সামাজিক দূরত্ব মানতে বাস, ট্যাক্সি ছেড়ে স্কুটি, মোটর বাইকেই ভরসা

‌কিন্তু আইআরডিএ-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ অগাস্ট থেকে তিন বা পাঁচ বছরের বিমার টাকা গ্রাহকদের একসঙ্গে দিতে হবে না৷ ফলে নতুন গাড়ি বা বাইকের অন রোড প্রাইস অনেকটাই কমবে৷

‌কিন্তু আইআরডিএ-র নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ১ অগাস্ট থেকে তিন বা পাঁচ বছরের বিমার টাকা গ্রাহকদের একসঙ্গে দিতে হবে না৷ ফলে নতুন গাড়ি বা বাইকের অন রোড প্রাইস অনেকটাই কমবে৷

ক্রেতাদের পছন্দে বাইককে হারিয়ে দিচ্ছে স্কুটি। আর সেই হিসাবে, বেশি দামের বাইক নয়, কম দামি বাইক ও স্কুটিই এখন প্রাধান্য পাচ্ছে ক্রেতাদের কাছে

  • Share this:

#‌কলকাতা:‌ কথায় আছে, কারওর পৌষমাস তো কারওর সর্বনাশ। একদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক মানুষ মারা যাচ্ছেন। সুস্থও হচ্ছেন একাধিক আক্রান্ত হওয়া রোগী। কিন্তু তার মধ্যেই হঠাৎ করে লাভের মুখ দেখছে বাইক, স্কুটি নির্মাণকারী সংস্থাগুলি। কিন্তু কেন?‌

মধ্যে ‘‌আনলক ওয়ান’‌ পর্ব শুরু হতেই অফিসগুলিতে যাতায়াত বেড়েছে। রাস্তায় আছে ট্যাক্সি,অটো, সরকারি ও বেসরকারি বাস। কিন্তু গণপরিবহনের এই মাধ্যমগুলির সচল থাকলেও সাধারণ যাত্রীরা কি নিরাপদ? আপাতত এই আশঙ্কাতেই গণপরিবহন ছেড়ে নিজের মোটর বাইক, স্কুটির উপরেই বেশি ভরসা রাখতে চাইছেন অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। আর তাই ভিড় বাড়ছে মোটর বাইক, স্কুটি কেনার শোরুমগুলোতে। অন্তত ‘‌আনলক ওয়ান’‌–এর চতুর্থ দিনে এমনই ছবি শহরতলীর বিভিন্ন শোরুমে। শুধু তাই নয় দু-একটি শোরুমে আবার বাইক স্কুটি কেনার জন্য দেখা যাচ্ছে ক্রেতাদের লাইনও।

হন্ডা, ইয়ামাহা, বাজাজ থেকে শুরু করে একাধিক বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থার বাইকের চাহিদা থাকলেও স্কুটির চাহিদাই সর্বাধিক। অন্তত বিভিন্ন শোরুমের সেলস ম্যানেজারের বক্তব্য থেকেই তা স্পষ্ট। বেলঘড়িয়ার রথতলার এক সেলস ম্যানেজার জানাচ্ছেন, ‘‌প্রত্যেকদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫টি করে বাইক, স্কুটি বিক্রি হচ্ছে ও বুকিং চলছে। তবে বাইকের থেকে স্কুটি বিক্রিটাই বেশি হচ্ছে। কারণ স্কুটি পরিবারের সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।’‌‌ অফিস যাওয়ার জন্য এখন গণপরিবহন বিশেষত বাস-অটো, ট্যাক্সিকে ভরসা করতে পারছেন না বিভিন্ন অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। তাই বাইক চালানো এখনো পর্যন্ত শিখে উঠতে পারেননি এইরকম ক্রেতারাও চলে আসছেন বাইক কিনতে। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কর্মরত এক ব্যক্তি বাইক কেনার প্রসঙ্গে বলেন, ‘‌আমি কোনদিন বাইক চালাই নি। কিন্তু নিজেকে সুস্থ এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে গেলে বাইকই এখন অন্যতম উপায়। তাই বাইক কিনে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করব।’‌

কিন্তু ক্রেতাদের পছন্দে বাইককে হারিয়ে দিচ্ছে স্কুটি। আর সেই হিসাবে, বেশি দামের বাইক নয়, কম দামি বাইক ও স্কুটিই এখন প্রাধান্য পাচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। বিভিন্ন অফিস শুরু হবার পর থেকেই শহর কলকাতায় বাইক ও স্কুটির সংখ্যার নজিরবিহীনভাবে বাড়তে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও ৬০% আবার কোথাও কোথাও ৮০% বাইক ও স্কুটি চলাচল বেড়েছে। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পরিসংখ্যান এমনই হিসেব দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলার এক অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বাইক বা স্কুটিকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন অফিস যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই যত সংখ্যক আসন কত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বেসরকারি বাস ও সরকারি বাস পরিষেবা শুরু হয়েছে শহর কলকাতায়। তাতেও অনেকেরই নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কেননা বিভিন্ন বাসগুলি আগে থেকেই আসন ভর্তি হয়ে আসার জন্য আর নতুন করে বাসে ওঠার জায়গা থাকছে না। তার ওপর দ্বিগুণ-তিনগুণ হারে বাড়ছে বাসের ভাড়া। সব মিলিয়ে এখন বাইক ও স্কুটির উপরেই নির্ভর করছেন আমজনতা।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Published by:Uddalak Bhattacharya
First published:

Tags: Coronavirus, Lockdown, Unlock 1