#কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুথকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক নেতাজি ইন্ডোরে। তাতেই যোগ দিতে আসছিলেন। প্লাটফর্মে ওঠার মুখেই বোমার আঘাত। সেই আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন শ্রমপ্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
জাকির হোসেনের উপর হামলায় একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি, কিন্তু জাকিরকে ক্লিনচিট দিচ্ছে সব পক্ষই। প্রত্যেকেই বলছে অসূযাশূন্য, স্পষ্ট মানুষ জাকির।
সন্ধেতেও জাকিরের সঙ্গে ছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের।ঘটনায় হতচকিত আবু তাহের বলেন, বিজেপি, কংগ্রেস সিপিএম চাইছে অশান্তি বাঁধিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। জাকির নিজে অত্যন্ত সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, জেলার একমাত্র মন্ত্রী তাঁর উপর এই হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি মনে করি এই মাস্টারপ্ল্যানে শুভেন্দু অধিকারী জড়িত। তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ বলছেন, "উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিপক্ষের অসুবিধে হচ্ছে। তৃণমূলকে ভাঙার কাজ যারা করছে সেই কংগ্রেস বিজেপি বামপন্থীরা এর পিছনে রয়েছে।" এদিকে দিলীপ ঘোষ কাঠগড়ায় তুলছেন রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই। তিনি বলছেন, একই দিনে শুভেন্দু অধিকারীর উপরও হামলা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে জাকিরের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। দিন কয়েক আগে জাকির রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি জবাবি সভা করেন। তাতে নজড়কাড়া ভিড় হয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যেতেও দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য মোশারফ হোসেনদের বহিস্কার করার মতো জরুরি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্যাক্টরির দিকে রওনা হন তিনি। সেখানে থেকে কলকাতায় আসার ট্রেন ধরছিলেন, অনুগামীরা লাইভও করছিল, হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়। নিমতিতা স্টেশন চত্বর রক্তে ভেসে যেতে থাকে। জাকির ছাড়াও আহত হন তাঁর অন্তত ১৪ জন অনুগামী । এই আবহে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
জাকিরের নিজের পেট্রল পাম্প, চালকল আছে। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালান তিনি। তাহলে কি ব্যবসায়িক কারণেই শত্রুতা নাকি তৃণমূলের আত্মবিশ্বাসে আঘাত হানতেই তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা? মরিয়া হয়ে উত্তর খুজছে পুলিশ, আর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
এদিন এসএসকেএম-এ জাকিরের এক্স রে হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন স্কিন ট্যিসুতে আঘাত রয়েছে তাঁর, হাড়ে চোট নেই। ঘটনার আকস্মিকতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।