#কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর ঘটনার পুনরাবৃত্তি রাজীব বন্দোপাধ্যায় নিয়ে চাইছে না দল। বরং রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিগত কয়েক দিন ধরে একাধিক অরাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে নানা মন্তব্য করতে শোনা গেছে বর্তমান বনমন্ত্রীকে। দলবিরোধী সরাসরি কথা না বললেও রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে চর্চা। তাই দ্রুত রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে আলোচনায় বসতে চাইছে দল।
গতকালই রাজীব বন্দোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। শুক্রবারই পুরোহিতদের একটি সভায় যোগ দেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। সঙ্গে তিনি বলেন, যা বলেছি সব ভেবে চিন্তেই বলেছি। কিছু দিন আগেও তিনি বলেন, "ঠাকুরের কথায়, যত মত, তত পথ। যত মত থাকবে, পথও ভিন্ন ভিন্ন হবে। রাজনৈতিক কারণে আমি একথা বলিনি। যা বলেছি ঠাকুরকে স্মরণ করে বলেছি।" তবে তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তিনি এখনও একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। তিনি একটি মন্ত্রীসভার সদস্য। তবে তিনি গোটা বিষয়টি ভেবে বলেছেন বলে জানিয়েছেন।
অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে এই বক্তব্য হলেও, রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের কথাকে গুরুত্ব দিচ্ছে দল। সূত্রের খবর, প্রকাশ্যে কিছু না বললেও দল আগামী সপ্তাহেই রাজীব বন্দোপাধ্যায় সাথে আলোচনায় বসছে। সূত্রের খবর, দল মনে করছে রাজীব বন্দোপাধ্যায় সংগঠক ও মন্ত্রী হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও না কোনও ভাবে দলের প্রতি তার অভিমান তৈরি হয়েছে। সেই কারণেই তার সাথে আলোচনায় বসতে চলেছে দ
দলের ব্যাখ্যা, রাজীব বন্দোপাধ্যায় কোথাও সরাসরি কূকথা বলেননি দলের উদ্দেশ্যে। দলনেত্রী সম্পর্কে ও কোনও কটূ শব্দ ব্যবহার করেননি। ফলে রাজীবের সাথে আলোচনায় বসতে চলেছে দল। এদিন সৌগত রায় অবশ্য বলেন, "যাঁরা আমাদের দলে আছেন, তাদের আমরা দলে রাখার চেষ্টা করব। ভোটের আগে কিছু লোক কিছু কিছু কথা বলেন। নেত্রী রাস্তায় নেমে গেছে, দল রাস্তায় নেমে গেছে। এখন বাকি কিছু ভাবার অবকাশ নেই।"
রাজীব বন্দোপাধ্যায় অবশ্য এদিন বলেন , "রাজনীতি করি বলে অনেক মানুষকে সাহায্য করতে পারি। ব্যক্তিগত ভাবে এতটা করা যায় না। মানুষ বড় স্বার্থপর। নিজের ছাড়া কিছু বোঝে না। যতদিন বাঁচবো, ততদিন মানুষের হয়েই কাজ করব। রাজনৈতিক মহলের দাবি, শুধু নিজের জেলা নয়। যখনই যে জেলায় দায়িত্ব পেয়েছেন সেখানে যথেষ্ট সাফল্য এনেছেন রাজীব বন্দোপাধ্যায়। এখন দেখার তাকে আটকাতে কি রাস্তা বেছে নেয় দল।"